নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : টঙ্গীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মনোয়ার হোসেন (৩৮) নামে আরো একজন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির নর্দান হাসপাতালে তিনি মারা যান। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪ জনে।
মনোয়ার হোসেন ট্যাম্পাকো কারখানার লেদ সেকশনের ইনচার্জ ছিলেন। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার আনাখন্দ গ্রামের উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে।
নিহত ৩৪ জনের মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৪ জন।
বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে স্থাপিত জেলা কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার ভেংগুলা গ্রামের কৃষ্ণ প্রসাদের ছেলে সুভাষ চন্দ্র প্রসাদ (৩৫), ভোলার দৌলতখান গ্রামের জবুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার কাকচুর গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮), একই জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার সরিষা গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাশেদ (২৫), চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার রুহিতারপাড় গ্রামের মৃত খালেক মাস্টারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৬৫)।
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি থানার মানিককাজী গ্রামে নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার বড়বাহ্রা গ্রামের মৃত নবদীপ দাসের ছেলে গোপাল দাস (২৫), একই থানার চরমানপুর গ্রামের নিতাই সরকারে ছেলে শংকর সরকার (২৫), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার পশ্চিম ফুলজুড়ি গ্রামের মৃত ইনজাম উদ্দিন আজাদের ছেলে আল মামুন (৪০), সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার সুন্দিসাই গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩৮), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার আস্তাফলা গ্রামে করিম বক্সের ছেলে সোলাইমান (৩৫), টাঙ্গাইল সদরের মধুপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আনিছুর রহমান (৫০), একই এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ওয়ালি হোসেন (৩৫), ভোলার দৌলতপুর থানার লেজপাড়া গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাইন উদ্দিন (৩৫)।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের সুন্দিসাড়ি গ্রামের তনজিদ আলীর ছেলে সাইদুর রহমান (৫০), টাঙ্গাইল সদরের মধুপুর গ্রামের মৃত মচর আলীর ছেলে হাসান সিদ্দিকী (৫০), চট্টগ্রামের সন্দিব এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মামুন ওরফে ক্লিনার মামুন (৪০), সিলেটের মিবগঞ্জ সোনাপাড়া এলাকার আব্দুল আহাদের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫), হবিগঞ্জের চুনারঘাট থানার বনদশক্যানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে রোজিনা, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার আদর্শপাড়া এলাকার মৃত মুকুল চন্দ্র দাসের ছেলে রিপন দাস (৩০)।
ও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার উত্তর মহিষা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০), সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার মুরাদনগর এলাকার ওয়াহিদুজ্জামান তপন (৩৬), শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার পুরাঘর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫০), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার আদমপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে তাহমিনা আক্তার (২০), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার পাবাডুবি এলাকার রসি মিয়ার ছেলে আশিক (১৪) ও মনোয়ার হোসেন (৩৮)।
অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন- মাগুরা সদরের চনপুর ইগরন গ্রামের আব্দুস ছালেক মোল্লার ছেলে কাজিম উদ্দিন (৩৬), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উকলমি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৭), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার শিবপুর আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন মুরাদ, একই গ্রামের সুলতান গাজীর ছেলে আনিসুর রহমান (৩০), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার মেসেরা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০)।
চাঁদপুরের কচুয়া থানার পলাখান গ্রামে ইউসুফ পাটোয়ারীর ছেলে নাসির পাটোয়ারি, কুমিল্লার মুরাদনগর খানার টনকি গ্রামের তোফায়েল হোসেনের ছেলে মামুস আহমেদ (৩০), ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভীমনগর গ্রামের মোজাম মোল্লার ছেলে চুন্নু মোল্লা, সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার দক্ষিণ ফানিশাইল গ্রামের হাজী আব্দুল করিমের ছেলে রেদোয়ান আহমেদ ও সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার আলীনগর গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে জয়নুল ইসলাম।
রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হাসমত আলী/উজ্জল