মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওপাড়া নবীনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবন ভাঙা শুরু হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে যে অংশ নির্মাণ করা হয়েছে তা ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছে এলজিইডি প্রধান কার্যালয়। গত ৭ জানুয়ারি নির্মাণাধীন ওই ভবনের সিঁড়ি ধসে পড়লে ব্যাপক আলোচিত হয়। এলজিইডি মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দীন সর্দার ও গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক সোমবার দুপুরে ভবনের উপরের অংশ শ্রমিক দিয়ে ভাঙা শুরু করেন। মেহেরপুর এলজিইডি আজিম উদ্দীন সর্দার জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী ভাঙা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দোতলার কয়েকটি পিলার, ভেঙে পড়া সিঁড়িসহ ইটের গাথুনি ভাঙা হচ্ছে। ভবনের যে পরিমাণ অংশ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী পাওয়া যাতে ততটুকু ভেঙে ফেলা হবে। তিনি আরো বলেন, সিঁড়ি ভেঙে পড়ার পর এলজিইডি সদর দপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী ও বুয়েট প্রতিনিধি দল ভবন পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করে। বুয়েট পরীক্ষায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী নিশ্চিত হওয়ায় ভাঙার নির্দেশনা দেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভাঙার কাজ শেষ করে নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ঠিকাদার নিজ খরচে ভাঙার পর পুনরায় নির্মাণ করবে। নির্ধারিত সময় আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী। প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলা এলজিইউডির অধীনে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার তামান্না এন্টারপ্রাইজ। সাব ঠিকাদার হিসেবে গাংনীর আব্দুল মোনায়েম নির্মাণ কাজ করছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি দোতলার নির্মাণাধীন সিঁড়ি ভেঙে পড়ে। রাইজিংবিডি/মেহেরপুর/৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মহাসিন আলী/রিশিত