কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার সর্বত্র গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গ্রামগঞ্জে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। সরেজমিন নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভবারীপুর গ্রামের কৃষক বাবর আলীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার গৃহপালিত ১০টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। পাশের টাকীমারী গ্রামের শাহের আলীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার পাঁচটি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত। তিনি একজন কবিরাজ দিয়ে গরুর গা ঝাড়ফুক করে নিচ্ছেন। শাহের আলী জানান, গত সাতদিন থেকে তার পাঁচটি গরু আক্রান্ত। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। শুনেছেন, ভিতরবন্দ ইউনিয়নে গবাদিপশুর চিকিৎসার সাব সেন্টার আছে। সেখানে একজন পশু চিকিৎসক আছেন। তবে তাকে পাঁচ দিন ধরে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনিছুর রহমান জানান, এ ওয়ার্ডে অনেক কৃষকের গরুর ক্ষুরা রোগ হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে না। জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা দীপকরঞ্জন রায় বলেন, ক্ষুরা রোগ সব বয়সের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার ভাইরাসজনিত ছোয়াছে রোগ। ক্ষুরা রোগের লক্ষণ হচ্ছে আক্রান্ত গরুর গায়ের তাপমাত্রা খুব বৃদ্ধি পায়। জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, মুখ গহ্বর, পায়ের ক্ষুরের মধ্যভাগে ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি হয়। ফলে গরুর মুখ দিয়ে লালা ঝরে এবং সাদা ফেনা বের হয়। তখন গরু খোড়াতে থাকে এবং খাবার খেতে পারে না। অল্প সময়ে গরু দুর্বল হয়ে মারা যায়। এ অবস্থায় রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেন তিনি। জেলার কোন কোন এলাকার গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তা তার জানা নেই। রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/বাদশাহ্ সৈকত/বকুল