খেলাধুলা

‘চোক’ করছে না বাংলাদেশ: মাশরাফি

ক্রীড়া প্রতিবেদক: মিরপুরে তিনটি ফাইনাল খেলে তিনটিতেই পরাজয় বাংলাদেশের। ২০০৯ সালের ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট, ২০১২ সালের এশিয়া কাপ এবং ২০১৬ সালের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। প্রতিটি হার যেন একেকটি হতাশার কাব্য। আজ পরাজয়ের গ্লানিতে যোগ হয়েছে আরেকটি গল্প। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকে ডাকা হয় ‘চোকার্স’। ওয়ানডের অভিজাত দলটি কখনোই নক আউট টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারে না। গ্রুপপর্বে দুর্দান্ত লড়াই করলেও কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে তাদের পাওয়া যায় না চেনা ছন্দে। এবারের ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অনেকটাই ‘চোকার্সের’ মতো। দোর্দাণ্ড প্রতাপে প্রথম তিন ম্যাচ জিতলেও পরের ম্যাচে পথ হারায় বাংলাদেশ। সঠিক পথে ফিরেনি ফাইনালেও। ৭৯ রানের হারে আবারও ফাইনাল হারের তিক্ত স্বাদ টাইগার শিবিরের। তাহলে কি বাংলাদেশ ‘চোকার্স’ তকমা পেতে যাচ্ছে? মাশরাফির ভাষ্য,‘আমি ভাগ্যে কিছুটা বিশ্বাস করি। আমি ওটা বলবো না। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল হওয়ার পর হয়তো বলা যাবে আমরা চোক করছি কিনা। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের মেলোনো যুক্তিসঙ্গত না।  আমাদের ওই লেভেলে আগে যেতে হবে। ওরা সব সময় র‌্যাঙ্কিংয়ে ১-২-৩ এ থাকে। তাদের লেভেলে গিয়ে এটা বলা ঠিক হবে।’ মাশরাফি মুখে স্বীকার না করলেও ফাইনালে বাংলাদেশ ‘চোকই’ করছে। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটে এবং ২ রানের হার সেই ইঙ্গিত বহন করে। আজ ভালো বোলিংয়ের পর ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে বাংলাদেশও হতাশ,‘আমরা স্বাভাবিক সবাই হতাশ। আমরা যেটা প্রত্যাশা করিনি সেটাই হয়েছে। আমরা অবশ্যই চেয়েছিলাম জিততে, কিন্তু আমরা তা পারিনি।’ সমস্যা কোথায়? বাংলাদেশ কি ফাইনালের চাপ নিতে পারছেন না? মাশরাফি আজকের ফাইনালকে দেখছেন ভালো চোখেই,‘অন্য ফাইনালের চেয়ে আজকে আমরা বেশি ডিসিপ্লিন ছিলাম। বিশেষ করে বোলিং যদি বলেন। ফিল্ডিং হয়তো কয়েকটা ক্যাচ ড্রপ হয়েছে। ফাইনালে একটা চাপ থাকে সেটা কালকেও বলেছিলাম। আমার কাছে মনে হয় শেষ ম্যাচের চেয়ে বোলিংটা আমাদের ভালো ছিল। দুইশ’র মধ্যে আমরা আটকে রাখা যেত। ব্যাটিংটা আরও একটু চিন্তা করে করলে ভালো হতো। আমি জানি না সাকিবের বিষয়টা কারো মাথায় চাপ তৈরি করেছে কিনা। তারপরও আমার মনে হয় ২২০ করার (আসলে ২২২ রান) জন্য ড্রেসিংরুমে যথেষ্ট খেলোয়াড় ছিল।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জানুয়ারি ২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল