সারা বাংলা

পর্যটকের অপেক্ষায় রাঙামাটি

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে সম্প্রতি রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স খুলে দেওয়া হয়েছে। উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে  রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ। তবে করোনার কারণে এখনও পর্যটকদের আশানুরূপ সাড়া মিলছে না।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পর্যটন কমপ্লেক্স বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে এ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর এ পর্যটন কমপ্লেক্স থেকে সরকার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। কিন্তু এ বছর রাঙামাটি পর্যটন থেকে রাজস্ব দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটক রিকি ও জাহিদ বলেন, ‘রাঙামাটি ঘুরতে এসে খুবই ভালো লাগছে। কাপ্তাই হৃদ, শুভলং ঝর্ণার অপরূপ দৃশ্য যেন স্বর্গীয় অনুভূতি দেয়।’  

চট্টগ্রাম শহর থেকে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা ক্যাথরিন নামে এক পর্যটক বলেন, ‘করোনার কারণে গত চার মাস ধরে বাসায় দম বন্ধ অবস্থায় ছিলাম। এখন পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ায় পরিবার নিয়ে কিছুটা প্রকৃতির স্বাদ নিতে রাঙামাটিতে এসেছি।’

করোনার কারণে পর্যটক না থাকায় এই খাত সংশ্লিষ্টরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কর্মহীনরা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছেন।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে হাতে তৈরির বিভিন্ন পণ‌্য বিক্রি করেন সুনীতি চাকমা। তিনি বলেন, ‘৪ মাস ধরে পর্যকট আসা বন্ধ। গত ২ দিন ধরে ঝুলন্ত সেতু খুলে দেওয়ায় আমরা আবারও পণ‌্যের পসরা সাজিয়ে বসেছি।’

বিক্রেতা রহিমা চাকমা বলেন, ‘ব‌্যবসা বন্ধ থাকায় গত ৪ মাসে আমার ৬ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যটক আসতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে আমাদের ব্যবসাও ভালো হবে।’

রাঙামাটি পর্যটন নৌযান ঘাট মালিক সমিতির ম্যানেজার রমজান আলী বলেন, ‘সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া দিচ্ছি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে তেমন পর্যটক নাই।’

তিনি বলেন, ‘গত চার মাসে আমাদের প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গা থেকে এখন পর্যটক আসলেও বন্যার কারণে পর্যটকরা তেমন আসছে না।’

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘১৮ মার্চ থেকে পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স বন্ধ ছিল। চার মাস কোনো ব্যবসা বাণিজ্য হয়নি। এতে বেশ ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁর কার্যক্রম চালাচ্ছি।’