সারা বাংলা

সিনহা হত‌্যা: র‌্যাব হেফাজতে এপিবিএন-এর ৩ সদস‌্য

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় কারাগারে থাকা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে র‌্যাব হেফাজতে সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে সিনহার বোনের দায়ের মামলার ১৩ আসামিকে রিামান্ডে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করার পর কারাগারে পাঠানো হলেও ওসি প্রদীপসহ মামলার মূল অভিযুক্ত ৩ জনের পঞ্চম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

শনিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে এপিবিএন-এর ৩ সদস্যকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম।

পরে এ ৩ আসামিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বেলা ১২টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান তিনি।

এপিবিএন-এর এ ৩ সদস্য হলেন—  আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টের সদস্য এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও কনস্টেবল রাজীব। ঘটনার সময় তারা এপিবিএন-এর শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন।

এ আসামিদের গত ১৭ আগস্ট রাতে টেকনাফের শামলাপুর থেকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানিয়েছিল, সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িতদের সঙ্গে এপিবিএন-এর ৩ সদস্যদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরদিন গত ১৮ আগস্ট এ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির করেন। এতে তাদের প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ‘গাড়ি তল্লাশিকে’ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরদিন ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। এছাড়া, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া পুলিশের দায়ের মামলার তিনজন স্বাক্ষীকে ( নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ ) গত ৮ আগস্ট রাতে র‌্যাবের একটি দল গ্রেপ্তার করে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আসামিদের নিয়ে যাওয়ার সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা মত রিমান্ডে নেয়ার সময় এবং রিমান্ড শেষে আসামিদের স্বাস্থ‌্য পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনে কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া এ ৩ আসামিকে (এপিবিএন সদস্য) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়।’

এসময় সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের ব্যবহার করা অস্ত্রটি আদালতের আদেশ মতে শনিবার র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন মামলার এ তদন্তকারী কর্মকর্তা।