আইন ও অপরাধ

সাহেদ ও মাসুদ রিমান্ডে

১১ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজের ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। অপরদিকে তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।  রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এছাড়া এদিন উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার সাত মামলায় সাহেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা ও করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও প্রমাণ পাওয়ায় গত ২৫ আগস্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।

গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে।  ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাদের বিভিন্ন মামলায় দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৬ জুলাই সাহেদের নিয়ন্ত্রণাধীন উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতাল এর দুটি শাখায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়।