সারা বাংলা

ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার চান বাবা-মা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী ও মা রমিছা বেগম হামলাকারীদের দ্রুত বিচার চেয়েছেন। 

বাবা ওমর আলী নিজেরও এই হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন রমিছা বেগম এবং ওয়াহিদার ছোট ভাই শেখ শরিফ। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা হামলাকারীদের দ্রুত বিচার চেয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তার শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর আগে তারা ওই বাসভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীকে বেঁধে প্রহরীকক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। দুর্বৃত্তরা ইউএনও এবং তার বাবা ওপর হামলা করে চলে যায়।  

ওমর আলী প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তার খোঁজ নেওয়ার জন্য বাসভবনে আসেন। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। 

হাসপাতালে শুয়ে ওমর আলী বলেন, নওগাঁ থেকে তিনি মেয়ের কাছে ঘোড়াঘাটে বেড়াতে গিয়েছিলেন। হামলার সময় মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও আহত করে। 

‘‘মুখে কালো কাপড় বেঁধে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে ওয়াহিদাকে আহত করে। তার চিৎকারে এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে আমাদের উদ্ধার করে।’’ 

ওমর আলীর অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম।

মা রমিছা বেগম বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। দ্রুত শাস্তি হলে অন্যান্য অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পাবে।

‘‘আমার মেয়ে খুব শান্তশিষ্ট স্বভাবের। জানামতে তার শত্রু ছিল না। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আল্লাহর রহমতে আমার মেয়ে এখন কিছুটা ভালো।’’

তিনি তার মেয়ের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

অপরাধী যে দলের হোক না কেন, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ওয়াহিদা খানমের ছোট ভাই পুলিশ সদস্য শেখ শরিফও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।