সারা বাংলা

আবারও সচল হচ্ছে চট্টগ্রামের আলোচিত মিতু হত্যা মামলা

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলাটি আবারও সচল হচ্ছে।

দীর্ঘদিন মামলা অগ্রগতি থমকে থাকার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্তে মামলাটি আবার সরব হয়ে উঠেছে।

দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পর এই মামলায় কারাগারে থাকা এক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতের কাছ থেকে আদেশ পেয়েছে পিবিআই। আলোচিত এই আসামির নাম শাহাজাহান মিয়া। একই মামলায় অপর দুই আসামিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পিবিআই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনউদ্দিন সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কারাগারে বন্দি থাকা আসামিদের মধ্যে ৩ জনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীনের আদালত শুনানি শেষে শাহজাহান মিয়া নামে এক আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন নামের দুই আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনউদ্দিন জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিলো। আদালত এক আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অপর দুই জনকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আসামিরা এর আগে যেসব তথ্য দিয়েছিলো তা যাছাই করা এবং হত্যার মোটিভ জানতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

উল্লেখ‌্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ততম জিইসি ওআর নিজাম রোডের ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম ভবনের বাসা থেকে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময়ে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।

হত্যাকাণ্ডের শিকার মিতু ছিলেন তৎকালীন সময়ের আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী। এই হত্যাকাণ্ডটি সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। হত্যাকাণ্ডের পর মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে নির্দোষ দাবি করলেও পরবর্তীতে হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মিতুর বাবা। ঘটনার পরবর্তীতে বাবুল আকতার পুলিশের চাকুরি থেকে ইস্তফা দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন এবং দুই সন্তান নিয়ে একাই বসবাস করছেন।

এদিকে, মিতু হত্যাকাণ্ডটি শুরু থেকে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করলেও দীর্ঘ ৩ বছরেও কোন কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। পিবিআই নতুন করে মিতু হত্যা রহস্য উন্মোচন করতে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে পিবিআই’র হাতে তদন্তাধীন থাকা মামলাটি এখন নতুন করে সচল হয়ে উঠেছে।