সারা বাংলা

এমসি কলেজে ধর্ষণ: আদালতে সাইফুর-অর্জুন-রবিউল 

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের মামলার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ তিন জনকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে তাদের তিন জনকে হাজির করে পুলিশ। অন্য দুজন হলেন- মামলার এজাহারের চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও পাঁচ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য ভূষণ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, ‘গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ তিন আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে তিন জনই প্রচুর তথ্য দিয়েছে এবং ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথাও স্বীকার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ তাদের আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতের বিচারক তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি কি না তা জানতে চেয়েছেন। তারা সময় চেয়েছে। এখন তারা এজলাসে আছে।’

তারা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হলে এক এক করে তিন জনের স্বীকারোক্তি আদালত রেকর্ড করবেন বলেও জানিয়েছেন ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। 

এ তিন আসামি ছাড়াও আলোচিত এ মামলায় এজাহার নামীয় তারেক আহমদ, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও মাহফুজুর রহমান মাছুম এবং এজাহারে থাকা রাজন ও আইনুদ্দিন নামের সন্দেহভাজন দুই আসামিও পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তবে তাদের রিমান্ড এখনও শেষ হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা দম্পতির স্বামীকে আটকে রেখে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর নামোল্লেখসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।