জাতীয়

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরুন: প্রধানমন্ত্রী

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপনসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, ‘ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরুন।’ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ‌্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর আমাদের বিজয় দিবস উদযাপন করতে হচ্ছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যপ্রণালীতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জনসমাগম এড়িয়ে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করতে হচ্ছে।  প্রতিটি মানুষের জীবনই মহামূল্যবান।  কোনো অবহেলায় একজন মানুষেরও মৃত্যু কাম্য নয়।’

‘আমি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপনসহ যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন এবং মাঝে মধ্যে হাত সাবান অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার করবেন। আপনার সুরক্ষা, সবার জন্য রক্ষাকবচ।’

করোনাভাইরাসের মহামারি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বছরটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্ববাসীর জন্য এক দুর্যোগময় বছর।  বিশ্ব অর্থনীতি এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে।  করোনাভাইরাসের মহামারির ফলে অনেক উন্নত এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে আমরা সময়োচিত পদক্ষেপ এবং কর্মসূচি গ্রহণ করে এই নেতিবাচক অভিঘাত কিছুটা হলেও সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি।

‘আমরা প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি যা জিডিপির ৪.৩ শতাংশ। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় ২.৫ কোটি প্রান্তিক মানুষকে নগদসহ নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  প্রাথমিক ধাক্কা সামলিয়ে আমাদের প্রবাসী আয়, কৃষি উৎপাদন এবং রপ্তানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত অর্থবছরে ৫.২৪ শতাংশ হারে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ বলছে ২০২০ সালে বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।’

বৃহৎ প্রকল্পগুলোর কাজ পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের ও গর্বের পদ্মা সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ।  ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ আবার পূর্ণদ্দোমে শুরু হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ এই মহামারিতে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলির নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মহাসড়কগুলো চারলেনে উন্নয়নের কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে।’