জাতীয়

শিরীনকে চায় ওআইসি

নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি : অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর সদস্য দেশের স্পিকারদের সম্মেলনে অংশ নিতে তেহরান যাবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আগামী ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুই দিনের সম্মেলনে যোগ দেবেন ৫৩টি দেশের স্পিকার।

সংসদের অধিবেশন চলায় শিরীন শারমিন চৌধুরী ওআইসি স্পিকার সম্মেলনে ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বিকে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আয়োজকরা জানিয়েছেন, শিরীনকেই আসতে হবে। কারণ, অংশগ্রহণকারী ৫৩টি দেশের মধ্যে তিনিই একমাত্র নারী স্পিকার। ওআইসির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৫৭।

চার দিনের ভারত সফরে সেদেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার পর দেশে ফেরার আগে শনিবার নয়া দিল্লীতে সাংবাদিকদের স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, আমি আশা করছি তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কোনো নড়চড় হবে না। এই বিশ্বাস নিয়েই বিকেলে দেশে ফিরেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।            

সংবাদ ব্রিফিং-এ শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তো বটেই, বিরোধী নেতা অরুণ জেটলিও তাকে বলেছেন, চুক্তি নিয়ে তাদের দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তেমন কোনো আপত্তি নেই। যতটুকু ভ্রান্তি রাজ্যস্তরে রয়েছে তা কাটানো অসম্ভব নয়। কাজেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভারতের আন্তরিকতা নিয়ে তার মনে কোনো সংশয় নেই। তিনি দেশে ফিরছেন এই ধারণা নিয়ে যে, দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক নির্ভরতা, বিশ্বাস ও ঐকান্তিকতার ওপর ভিত্তিশীল। আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্কের আরও বহুমুখী বিকাশ ঘটবে। এই সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক হবে।

ভারতের লোকসভার স্পিকার মিরা কুমারের আমন্ত্রণে শিরীন শারমিন চৌধুরী ভারত সফর করেন। ভারতের পার্লামেন্টের লাইব্রেরি ও সংগ্রহশালা শিরীনকে মুগ্ধ করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশে যুগ্ম সংসদীয় ফোরামকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছেন শিরীন।

তিনি বলেন, ওই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি দশম সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো সম্পূর্ণ গঠন করে ফেলবেন। দুই দেশের ওই কমিটিগুলোর সদস্যরা একে অন্যের দেশে যাওয়া-আসা করবেন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে সংসদের ব্যাপ্তি ও কার্যকারিতা আরও বাড়বে ।

স্পিকার শিরীন শারমিনের মতে, দুই দেশেরই কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর চরিত্র এক। এ বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে খুব ভালো কাজ করা যায়। যেমন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, পরিবেশ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা, স্বাস্থ্য, শিশু ও নারী বিকাশ। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বাড়িয়ে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুব ভালোভাবে করা যায় বলে জানিয়েছেন শিরীন। তিনি জানান, দশম সংসদে তিনি এসব দিকে নজর দেবেন। স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলোর গঠন দুই সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

   

রাইজিংবিডি / সন্তোষ