সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন আরেক দফা পেছালো। আগামী ১৩ জানুয়ারি চার্জ (অভিযোগ) গঠনের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১০ জানুয়ারি) সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মো. মোহিতুল হকের আদালতে চার্জ গঠনের শুনানির দিন থাকলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দুই দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে মামলার ৮ আসামিকে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেন বলেও জানান ট্রাইব্যুনালের পিপি।
গত ০৩ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির নির্ধারিত তারিখ ছিল। তবে আদালত ওই দিন সেই তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে বেড়াতে আসা দম্পতির স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে কয়েকজন যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর নামোল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই গৃহবধূর স্বামী।
আসামিরা হলেন— সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, মাহফুজুর রহমান মাসুম, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও তারেক। এর বাইরে রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকেও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আসামির সকলে কারাগারে আছেন। তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
গত ২৯ নভেম্বর ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। আসামিদের ডিএনএর সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর সকালে এই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।