খেলাধুলা

রিভিউ নিতে কিপটেমি!

চট্টগ্রাম টেস্টের হারের ক্ষত এখনো মুছেনি। মোক্ষম সময়ে রিভিউ না নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে বাঁচিয়ে দিতে হয়েছে খেসারত। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনও সেই একই ভুল! এবারও ব্যাটিং প্রান্তে ছিলেন সেই কাইল মায়ার্স। হাতে ছিল পাক্কা তিনটা রিভিউ! অথচ কিপটেমি করলেন মুমিনুল! 

চতুর্থ দিনের সপ্তম ওভারের শেষ বল। শের-ই-বাংলায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। ব্যাটিংয়ে মায়ার্স। রাহীর করা বল তার ব্যাট ছুঁয়ে (পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়) যায় উইকেট রক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। বোলার ও উইকেটের পেছন থেকে নিষ্প্রাণ আবেদন। আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থও সাড়া দেননি। দ্বিধান্বিত বাংলাদেশ শিবির রিভিউ নিয়ে চ্যালেঞ্জও জানায়নি।  হাতে যখন তিনটি রিভিউ আছে প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানকে নিয়ে একটু ঝুঁকি নিতেই পারতেন মুমিনুল হক। তবে আজ ভাগ্য ভালোই বলতে হবে বাংলাদেশের।

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন মায়ার্স। তখনো তিনি তেঁতে ওঠেননি। টিভি রিপ্লেতে বল স্টাম্প বরাবর দেখা গেলেও হেলায় সুযোগ হারিয়েছিলেন মুমিনুল হকরা। সুযোগ পেয়ে তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। দলকে এনে দেন শ্বাসরুদ্ধকর জয়। এবার চট্টগ্রাম টেস্টের পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি মায়ার্স। পাঁচ ওভার পরই রাহীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাজঘরে। রান করেন ৬। 

চট্টগ্রামে শুধু মায়ার্স নয় বোনারকেও দ্বিতীয় জীবন দিয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। হাফ সেঞ্চুরির আগে নাঈম হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হন। বল স্টাম্পের দিকে গেলেও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। সেই বোনার হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। মায়ার্সের সঙ্গে লম্বা জুটি গড়ে বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছেন। 

মায়ার্সের রিভিউ না নিলেও পরবর্তীতে বাজে রিভিউ নিয়েছিলেন মুমিনুল হক। নাঈমের বল বোনারের ব্যাকপ্যাডে লেগে লেগ স্লিপে মিথুনের হাতে যায়। ফিল্ডাররা আবেদন করলেও আম্পায়ার সৈকত আউট দেননি। মুমিনুল হুট করেই নিয়ে নেন রিভিউ! টিভি রিপ্লে দেখার পর লিটন, মিথুন, নাঈমদের হাসি ছিল দেখার মতো!