আন্তর্জাতিক

হুমকিতেও বন্ধ হচ্ছে না মিয়ানমারে বিক্ষোভ

সামরিক জান্তার হুমকি-ধমকি, নিষেধাজ্ঞা কোনো কিছুই মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পারছে না। বৃহস্পতিবার দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রাচীন রাজধানী বাগান পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কের ব্যস্ত মোড়গুলিতে বিক্ষোভ করেছে অভ্যুত্থান বিরোধীরা। এসময় তারা সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানায় এবং গৃহবন্দি নেতা অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়। এর কয়েক দিন পরই সেনাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নৈশ কারফিউ, পাঁচ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞাসহ কড়া পদক্ষেপ নেয় সামরিক জান্তা। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেই প্রতিদিন বিক্ষোভ করছে জান্তাবিরোধীরা। বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করছে সরকারি কর্মচারী, চিকিৎসক ও শিক্ষকরা। এসব ধর্মঘট ও প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বুধবারের মতোই বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ সুলে প্যাগোডায় জড়ো হয়। অন্যরা প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জনপ্রিয় একটি বিক্ষোভস্থলে জড়ো হয়। অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে বিক্ষোভ র‌্যালি ছিল অনেক শান্তিপূর্ণ।  অনেক গাড়িচালক প্রতিবাদ হিসেবে সড়কে গাড়ি শম্বুক গতিতে চালিয়েছে।

গাড়ি চালকদের এক জন কো সোয়ে মিন বলেন, ‘আমি স্বৈরশাসকের আওতায় থেকে ঘুম থেকে উঠতে চাই না। আমাদের বাকি জীবন আমরা ভয়ের মধ্যে থাকতে চাই না। সরকারি কর্মকর্তারা কর্মস্থলে দেরি পৌঁছালে কিংবা না গেলে আমি খুশি হব।’

দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালেতে বিক্ষোভকারীরা দুই কর্মকর্তার মুক্তি দাবি করেছে। এদেরকে অভ্যুত্থানের সময় আটক করা হয়েছিল। প্রাচীন নগরী বাগানে ব্যানার ও পতাকা হাতে র‌্যালি করেছে। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ মন্দিরে প্রবেশ করে স্বৈরশাসকদের অভিশাপ দিয়েছে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।