ক্যাম্পাস

‘এবার বইমেলা হচ্ছে এটাই বড় প্রাপ্তি’ 

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করা হলেও করোনাভাইরাসের কারণে এবছর অনেকটা পিছিয়ে ১৮ মার্চ থেকে মেলা শুরু হয়।

প্রতি বছরের মতো বইমেলা তার বিশেষ ঐতিহ্যবাহী দিন ২১ ফেব্রুয়ারিকে হারিয়েছে। তারপরেও প্রকাশক থেকে শুরু করে লেখক, পাঠকরা বইমেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের মাধ্যমে অবসান হলো অপেক্ষার পালা।

বই মানুষের মনের খোরাক জোগাড় করে, আর তৃপ্তি মেটায় বইমেলা। এখানে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে গল্প হয়, আড্ডা হয়। সাহিত্যের সোন্দর্য বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কবিতার প্রতিটি লাইনের মতো ছন্দে ছন্দে মিলে যায় লেখক ও পাঠকের চিন্তা-চেতনা।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিন আজ। প্রতিদিন বইমেলা বিকাল ৩টা থেকে শুরু হলেও শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে। মেলায় প্রবেশ পথে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ কার্যকর রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পাঠকরা মেলায় প্রবেশ করছেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও বইমেলায় অনেক নতুন বই এসেছে। স্টলগুলো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, সায়েন্স ফিকশন, কল্পকাহিনি, নাটক, ভ্রমণকাহিনি সব ধরনের বই চোখে পড়ে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও এবার পাঠক সমাগম নেই। দর্শনার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। 

শিশুকর্নারে নেই ভিড়। করোনাভাইরাসের কারণে শিশুদের নিয়ে থাকছে না কোনো অনুষ্ঠান। শিশিমপুরের পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য নেই কোনো আয়োজন। 

এই নিয়ে মেলা পাবলিকেশন্সের প্রকাশক এম এস দোহা জানান, অন্যান্য বছর শিশিমপুরের আয়োজন উপলক্ষে শিশুদের আগমন ঘটতো। এবার তাদের আয়োজন না থাকায় শিশুরা এদিকে কম আসছে।

চিলড্রেন বুকস সেন্টারের প্রকাশক যোগল সরকার বলেন, ‘শিশুদের জন্য সব ধরনের বই আমাদের স্টলে রয়েছে। ওদের কথা ভেবে এবার আমরা বইয়ের পাশাপাশি নানা রকম উপহার দিচ্ছি।’

কালিকলম প্রকাশনীর প্রকাশক আলমগীর রহমান বলেন, ‘এবার মেলা নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত মেলা শুরু হলো। আশাবাদী শেষ পর্যন্ত ভালো কিছুই হবে।’

‘স্মৃতিগন্ধা’ বইয়ের লেখক সাদাত হোসাইনকে ঘিরে অন্যধারার ১৪৪-১৪৭ নম্বর স্টলে ছিল কিছু পাঠকের সমাগম। এদিকে দর্শনার্থীরা মেলায় ঘুরতে এসে ছবির ফ্রেমে আবদ্ধ হচ্ছেন। বাহারি রঙের পোশাকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

মেলায় ঘুরতে আসা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শরিফ হাসান বলেন, ‘এবার বইমেলা হচ্ছে, এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি।