ফাগুনের মলাট

করোনাকালেও বইমেলা এতটা মুখর হবে ভাবিনি: মনিরুজ্জামান মনির

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হয় বইমেলা। মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এই সংকটের মাঝেও বইমেলায় এসেছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির। ঘুরে ঘরে মেলা দেখেছেন, কিনেছেন বইও। তারই ফাঁকে রাইজিংবিডির মুখোমুখি হয়েছিলেন ৬৯ বছর বয়েসী এই বরণ্যে গীতিকার।

মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘এই করোনাকালেও বইমেলা এতটা মুখর হয়ে উঠবে, তা ভাবতেও পারিনি। বছরে একবার বইমেলা হয়। এই মেলার জন্য লেখক-পাঠক উন্মুখ হয়ে থাকেন। করোনার মধ্যে মানুষ বইমেলার টানে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। মেলায় এসে মানুষ বই কিনছেন, আড্ডা দিচ্ছেন, সাহিত্য-সংস্কৃতির বিনিময় করছেন।’  

এ সময়ের গীতিকারদের মধ্যে কার লেখা গান বেশি প্রিয়? এমন প্রশ্নের জবাবে ‘সূর্যোদয়েও তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’ গানের রচয়িতা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘ইদানীং নতুন নতুন অনেক গীতিকার আসছেন। বিশেষ করে সাংবাদিকদের মধ্য থেকে অনেকে গান লিখছেন। তাদের বড় একটি অংশ চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখছেন। এর মধ্যে কবীর বকুলকে আমার সম্ভাবনাময় মনে হয়। এছাড়া আরো অনেকে ভালো গান লিখছেন। অনেক ভালো লিখেন তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো—আমরা যেভাবে সিনেমায় কাজের সুযোগ পেতাম, সেভাবে তারা সুযোগ পাচ্ছে না। যার জন্য সিনেমার গান ওইভাবে লিখতেও পারছে না। চলচ্চিত্রের গানে একজন লেখক পরিশীলিত হতে পারেন।’

নিউ মিডিয়ায় ইউটিউব যুক্ত হওয়ার পর কাজ করার ক্ষেত্র বেড়েছে। ইউটিউবে মুক্তি পাচ্ছে এমন গানও লিখছেন মনিরুজ্জামান। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অনুপমের সঙ্গে আমি চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। তাদের গান নিয়মিত লিখি। এছাড়া আমার লেখা পুরোনো গানও তারা প্রচার করছে।’

বর্তমানে গীতিকাররা গানের বই কম প্রকাশ করেন বলে মনে করেন মনিরুজ্জামান মনির। বিষয়টি উল্লেখ করে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘গানের বই প্রকাশের দিকে আমাদের মনোযোগ নেই। আমাদের উচিৎ গানের বই প্রকাশ করা। এখানে একটি সমস্যা হলো আমাদের গান ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, যার জন্য সব গান এক করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমার গানের বই প্রকাশের ইচ্ছা রয়েছে। হয়তো আগামীতে আমি গানের বই নিয়ে আসবো।’