কৃষি

এসিআই হাইব্রিড ধানে হেক্টর প্রতি লক্ষ্য ১৫ টন

জনসংখ্যা বাড়ার কারণে দেশের চাষযোগ্য জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে হাইব্রিড ধান চাষের বিকল্প নেই। এরই মধ্যে এসিআই নিজস্ব উদ্ভাবিত ধানের গড় ফলন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। 

২০২৫ সালের মধ্যে হেক্টরপ্রতি হাইব্রিড ধানে ১৫ টন এবং ইনব্রিডে ১০ টন করার জন্য হাতে নিয়েছে ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি গাজীপুরের মাওনাতে এসিআইয়ের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজান কবির। 

এ সময় আরও ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস) একেএম মনিরুল আলম, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ঢাকা অঞ্চল) কৃষিবিদ বশীর আহম্মদ সরকার।  এ সময় তাদের গবেষণা মাঠ সম্পর্কে অবহিত করেন এসিআই সিডের বিজনেস ডিরেক্টর সুধীরচন্দ্র নাথ ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এসিআইতে একদল চৌকস বিজ্ঞানী প্রিমিয়াম টাইপ লম্বা সুগন্ধি, ছোট সুগন্ধি ধান- কাটারিভোগ ও ছোট সুগন্ধি ধান- চিনিগুড়া, বেসিক টাইপ যেমন আমন, বোরো ও স্বর্ণা এবং হাইব্রিড নিয়ে কাজ করছে। এর নেতৃত্বে আছেন কৃষিবিজ্ঞানী ড. মো. আব্দুস সালাম। ইতোমধ্যে এসিআই উন্নতমানের গবেষণার কাজ পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছে উচ্চমানের মলিকুলার ল্যাব, জিন ব্যাংক, গ্রিন হাউস ও আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন গবেষণা মাঠ। সেখানেই নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

এসিআই ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে অর্ধ দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে।  তারই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল ইনব্রিড ধানের দুটি জাত রাবি ধান-১ ও বাউ ধান-৩ এবং হাইব্রিড ধানের একটি জাত। ইতোমধ্যে কৃষকপর্যায়ে চাষাবাদ হচ্ছে ধানগুলো। 

এছাড়াও অনেকগুলো নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে এসিআই; যার মূল বৈশিষ্ট্য উচ্চ ফলনশীলের পাশাপাশি স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন, জিংকসমৃদ্ধ, জলবায়ুসহিষ্ণু এবং ব্লাস্ট রোগ ও ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট রোগ প্রতিরোধী। অতিশিগগিরই উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো কৃষকপর্যায়ে দেওয়া হবে।