করোনা সংক্রমণে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়েছে শ্মশান ও কবরস্থানগুলোতে। দাহ বা দাফন করতে অনেক স্বজনকে বাধ্য হয়ে লাশ কয়েক দিন বাড়িতে রেখে দিতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি কর্তৃপক্ষ নতুন শশ্মান তৈরির কাজ শুরু করেছে।
করোনার সংক্রমণে ভারতে এ পর্যন্ত এক লাখ ৯৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। গত সোমবার দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮০।
প্রতিদিন এতো মৃতদেহ দাহ করতে শশ্মানের কর্মীদের দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। দাহ করতে প্রবল চাপ নেওয়া শশ্মান কর্মীদের সঙ্গে এখন হাত লাগাতে হচ্ছে মৃতের স্বজনদেরও। নতুন শশ্মান নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষ এখন পার্কিং লট, মাঠ বা পার্কের দিকে নজর দিয়েছে।
দিল্লির সারাই কালে খান শশ্মানে অন্তত ২৭টি নতুন চিতা নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ৮০টি নির্মাণের কাজ চলছে। এর বাইরে পৌর কর্তৃপক্ষ যমুনা নদীর তীরে নতুন শশ্মান নির্মাণের জায়গা খুঁজছে।
কালে খান শশ্মানে একসঙ্গে ২৭টি দেহ দাহ করার ব্যবস্থা আছে। তবে এখন এখানে সকাল থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত টানা কাজ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শশ্মানের কর্মীরা্
পূর্ব দিল্লির গাজীপুর শশ্মানে দাহ করার চিতা সংকট। পরিস্থিতি সামাল দিতে শশ্মানের পাশের পার্কিং লটে ২০টি নতুন চিতা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আরও বেশি চিতা প্রয়োজন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে।