জাতীয়

খালেদা জিয়ার আবেদন ৯ মে যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতির বিষয়ে তার পরিবারের করা আবেদনপত্রটি আগামীকাল (৯ মে) সকালের মধ্যেই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

শনিবার (৮ মে) বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগামীকাল সকালের মধ্যেই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।’

গত ৫ মে রাতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনপত্র নিয়ে যান। আইনগত বিষয়ে জানার জন্য সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো আবেদনপত্রটি আজ আইনমন্ত্রীর বনানীর বাসভবনে নিয়ে যান সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন, সরকারের অনুমতি পেলে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে চার্টার্ড বিমান বা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রথমে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। সিঙ্গাপুর থেকে যুক্তরাজ্য বা সৌদি আরবে নেওয়া হতে পারে। খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের প্রথম পছন্দ যুক্তরাজ্য। এ ব্যাপারে দুই দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন করোনা পজিটিভ আসে। ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেখানে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট এবং ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।

এদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আজ (৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে আদৌ বিদেশ নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। বিএনপি কেন যে তাকে বিদেশ নিয়ে যেতে চায়, সেটি বোধগম্য নয়। দেশেই তো বেগম জিয়া সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন।’