খেলাধুলা

সাতে খেলবেন কে?

নেটের একপাশে মোসাদ্দেক। মাঝে মাহেদী হাসান। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে পাখির চোখে পরখ করছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ভুলত্রুটি গুলি ধরিয়ে দিচ্ছিলেন। কখনো নিজে গিয়ে, নয়তো ডেকে শিষ্যকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। 

শেষ নেটে যদি আফিফ হোসেন থাকতেন তাহলে ক্যানভাস পূর্ণ হতো। মূলত এ তিনজনের লড়াই সাত নম্বর ব্যাটিং পজিশনকে ঘিরে। লড়াইয়ে আফিফ হোসেন একটু পিছিয়ে আছেন। কিন্তু মোসাদ্দেক ও মাহেদীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। 

তিনজনই ব্যাটিং স্পিন অলরাউন্ডার। শেষ দিকে নেমে ব্যাট হাতে আগ্রাসন দেখাতে পারেন। দ্রুত রান তুলতে পারেন। বল হাতে তারা তিনজনই নিয়মিত। আফিফ আপাতত ভাবনায় থাকলেও তাকে বাজিয়ে দেখার আগে মাহেদী ও মোসাদ্দেকের পরীক্ষা নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। এজন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল প্রথম ওয়ানডেতে মাহেদী ও মোসাদ্দেকের যে কোনো একজনকে দেখা যাবে।

সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সিরিজে মোসাদ্দেক ছিলেন ইনজুরিতে। সেই জায়গায় খেলে দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন মাহেদী। সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন। তবে জানা গেছে, ঘরের মাঠে মাহেদীকে সুযোগে অপেক্ষায় থাকতে হবে। দল মোসাদ্দেককে নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে। গতকাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল সরাসরি দল নিয়ে কথা বলেননি।

তবে শনিবার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা সাত নম্বরের জন্য এমন কাউকে চাচ্ছিলাম যে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন করতে পারবে। আফিফ, মোসাদ্দেক, মাহেদীকে এই ভাবনা থেকেই দলে নেওয়া হয়েছে। সৌম্য পেস বোলিং পারে, সে টপ অর্ডারেও আসতে পারে। মোসাদ্দেক লোয়ার মিডল অর্ডারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সে এমন কেউ যে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারবে, ভালো ফিল্ডার, বোলিং-ব্যাটিং পারে, ভালো প্যাকেজ।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সৌম্য সরকারকে সাতে খেলিয়েছে দল। তিন ম্যাচে মাত্র একবারই ব্যাটিং পেয়ে সৌম্য ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। নিউ জিল্যান্ডে সৌম্যকে ফেরানো হয়েছিল টপ অর্ডারে। কিন্তু সেখানে ভালো করতে পারেননি। তিন ম্যাচে করেছিলেন ০, ৩২ ও ১ রান। এবার তাকে কোন ভাবনায় দলে রাখা হয়েছে?

ডমিঙ্গো বলেন, ‘সৌম্য দুই ভূমিকার জন্যই উপযুক্ত। সে বোলিং করতে পারে। নিচের দিকে ব্যাটিংয়ের বিবেচনায় আছে। তবে টপ অর্ডারেও সে একজন বিকল্প। তিনে ব্যাট করেছে নিউ জিল্যান্ডে। তার ওপর আস্থা আছে। সে মানসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। একটু ভাগ্য তার পক্ষে থাকতে হবে। তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই। এমন খেলোয়াড়দের সাপোর্ট দিতে হবে।’