খেলাধুলা

স্পেনের ইউরো দল থেকে বাদই পড়লেন রামোস

জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ তিনটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে স্পেন। এবার তাদের মিশন চতুর্থ শিরোপা। কিন্তু এই অভিযাত্রায় ১৮০ ম্যাচ খেলা সার্জিও রামোসকে দলে রাখছে না লা রোজারা। ২০০৮ ও ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের রাইট ব্যাককে ছাড়াই ইউরোর দল ঘোষণা করেছে স্পেন।

রামোসের বাদ পড়াটা অস্বাভাবিক নয়, আবার একটু বিস্ময় জাগাতেও পারে। কারণ এই বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কেবল পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন ৩৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। অন্য কোনও খেলোয়াড় হলে হয়তো আগেভাগেই বলে দেওয়া যেতো, এবার তার দলে অন্তর্ভুক্তি অসম্ভব। কিন্তু তিনি যে অভিজ্ঞতার বিচারে অনেক এগিয়ে। তিনটি ইউরো খেলে জিতেছেন দুটি, এ নিয়ে চতুর্থ আসর খেলার হাতছানি ছিল তার সামনে।

কিন্তু লুইস এনরিকে তার খেলোয়াড়দের সবসময় একটা বিষয় স্পষ্ট করেছেন, ইউরোর স্পেন দলে জায়গা পেতে হলে সেরা ফর্মে থাকতে হবে তার খেলোয়াড়কে। ঠিক এই কারণে এবারের আসরে খেলা হচ্ছে না রামোসের।

হাঁটুর চোটে এই বছর মাঠের বাইরে বেশি সময় কেটেছে ৩৫ বছর বয়সী তারকার। তবে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জিনেদিন জিদান মৌসুমের শেষ ম্যাচে তাকে দলে রাখায় মনে হচ্ছিল জাতীয় দলেও জায়গা হবে তার। কিন্তু এনরিকে তার কথায় অনড়। ফর্মে নেই রামোস, তাই তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করলেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ।

এনরিকে বলেছেন, ‘আমি একটা বার্তা দিতে চাই সার্জিও রামোসকে, আমাদের অধিনায়ককে, সে আমাদের তালিকায় নেই। জানুয়ারি থেকে সঠিক কন্ডিশনে সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি, এমনকি দলের সঙ্গে অনুশীলনও। আমি গত রাতে তাকে ফোন করেছিলাম, এটা ছিল কঠিন সিদ্ধান্ত, কিন্তু দলের জন্য ভালো।’

এদিকে রিয়ালের সঙ্গে আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে রামোসের চুক্তি। এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে নেওয়ার কোনও ঘোষণা আসেনি ক্লাবটির পক্ষ থেকে। সবশেষ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া তার জন্য বড় দুঃসংবাদই বলা চলে।

স্পেন ‘ই’ গ্রুপে পড়েছে এবার। সেভিয়ের লা কারতুজা অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সীমিত সংখ্যক দর্শকের সামনে তারা মুখোমুখি হবে স্লোভাকিয়া, সুইডেন ও পোল্যান্ডের।

স্পেন দল: উনাই সিমন, ডেভিড ডে গেয়া, রবার্ত সানচেজ, গায়া, জোর্দি আলবা, পাউ তোরেস, লাপোর্তে, এরিক গার্সিয়া, ডিয়েগো লরেন্তে, আজপিলিকুয়েতা, মার্কোস লরেন্তে, বুশকেৎস, রোদ্রি, পেদ্রি, থিয়াগো, কোকে, ফাবিয়ান, দানি ওলমো, ওয়ারজাবাল, মোরাতা, জেরার্দ মোরেনো, ফেরান তোরেস, আদামা ট্রাওরে ও পাবলো সারাবিয়া।