সাকিব আল হাসানের শাস্তি প্রত্যাহারের আবেদন করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড। স্টাম্পে লাথি ও আছাড় মারার ঘটনায় এবং আম্পায়ারের সঙ্গে অশোভন আচরণের কারণে মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পুরো ঘটনায় সাকিব গভীরভাবে অনুতপ্ত। এজন্য শাস্তি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছে ঐতিহব্যবাহী ক্লাবটি। ইতোমধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মোহামেডান।
রোববার (১৩ জুন) সাকিবের শাস্তি প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়টি রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির পরিচালক মাসুদুজ্জামান। একই সঙ্গে সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন জানিয়েছে, বিসিবি সভাপতির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে সিসিডিএমের কোনো যোগসূত্র নেই।
অনাকাঙিক্ষত ঘটনায় মোহামেডান অধিনায়ক 'সাকিব আল হাসান গভীরভাবে অনুতপ্ত' উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতিকে দেওয়া চিঠিতে মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইন-চার্জ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি লিখেছেন, 'বিসিবির খেলোয়াড় শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে সাকিব আল হাসানের ওপর আনিত শাস্তির অর্থদন্ড বহাল রেখে ৩ ম্যাচ খেলা থেকে বিরতি থাকার বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।'
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, 'বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে বাকি খেলাগুলো চলাকালীন সময়ে সাকিব আল হাসানের এরূপ ঘটনার ন্যূনতম পুনরাবৃত্তি হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে (স্থগিত নিষেধাজ্ঞা) তার তার শাস্তি বহাল থাকবে।'
এছাড়া মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘সাকিবের শাস্তি কমানোর বিষয়টা নিয়ে আমরা সিসিডিএমের কাছে আপিল করেছি। গতকাল রাতে আমরা মেইল করেছি। সিদ্ধান্ত পেতে দেরি হয়েছে। এরপর আমাদের ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাল রাতে মেইল করেছিলাম। আজ সিসিডিএমের কাছে সরাসরি চিঠি দিয়েছি।’
সিসিডিএম চিঠি না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সিসিডিএম পায়নি কেন আমি জানি না। আমরা তাদেরকে মেইল পাঠিয়েছি তারা মেইল চেক করলেই দেখতে পাবে।’
সাকিবকে লেভেল ৩ অফেন্স অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দুইবার অসাদাচরণের জন্য তাকে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।