পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘আবাসিক এলাকায় কার রেসিং বন্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা নির্দেশনা অমান্য করে উচ্চ শব্দে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রোববার (২৭ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের শাপলা কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশের কার রেসার, স্পোর্টস কার ওনার, কার এনথুজিয়াস্ট, কার ব্লগারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশে গড়ে ওঠা এসব গ্রুপ এ দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নিদর্শন। তবে, যেহেতু বাংলাদেশ এ মুহূর্তে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এ ধরনের সংস্কৃতি আমাদের দেশে এখনও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, তাই এক্ষেত্রে এখনো যথেষ্ট অবকাঠামো ও শৃঙ্খলা গড়ে ওঠেনি। সুতরাং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে কার রেসিংয়ের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সুনির্ধারিত ট্র্যাকে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। জনবহুল আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা বন্ধ করতে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় ট্রাফিক আইন প্রতিপালনে গাড়িচালকদের আরও উৎসাহিত করা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করা, ট্রাফিক আইনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো, রাস্তায় চলাচলের সময় পথচারীদেরে করণীয় সম্পর্কে সচেতন করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি গুলশান, বনানী, প্রগতি সরণী, হাতিরঝিল, এয়ারপোর্ট রোড, মানিক মিয়া এভিনিউসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু যুবকের উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানো, জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নের তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ফেসবুক পেজের ইনবক্সে একটি বার্তা পাঠান এক ব্যক্তি। এ বার্তা পেয়ে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বেপরোয়া গতি ও উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে উপদ্রব সৃষ্টিকারী এসব গাড়ির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে। বিশেষ অভিযানে ২০ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত মোট ২১টি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আরও প্রায় ৮০টি গাড়ির চালককে সতর্ক করা হয়।