বিনোদন

হাসপাতালে কোরবানির মাংস খেতে চেয়েছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। গ্রামের মন্দ মোড়লের চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় আজও অনেক দর্শক মনে রেখেছেন। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনি অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি মারা যান দেশবরেণ্য এই অভিনেতা। এই প্রথম তাকে ছাড়া কোরবানির ঈদ করতে হচ্ছে স্ত্রী সন্তানদের।

এটিএম শামসুজ্জামানের শেষ দিনগুলোর অধিকাংশ সময় হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। প্রয়াত এই অভিনেতার গত বছর কোরবানির ঈদ কেটেছে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। তিনি তখন খুব অসুস্থ ছিলেন।

বাবাকে নিয়ে সর্বশেষ ঈদের স্মৃতিচারণ করে ছোট মেয়ে কোয়েল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আব্বা অসুস্থ হওয়ার পরে গত দুই বছর তাকে আমরা কাছেই পেয়েছি। কারণ তখন আর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারতেন না। গত কোরবানির ঈদেও তিনি  হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।’

সেসময়ের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে কোয়েল বলেন, ‘একদিন হঠাৎ করেই কোরবানির মাংস খেতে চাইলেন। কিন্তু গতবার আমরা বাসায় কোরবানি দেইনি। তাছাড়া বাবার মাংস খাওয়া বারণ ছিল। তারপরও আমার এক মামির বাসা থেকে মাংস নিয়ে এসেছিলাম।’

প্রতিদিন নামাজে বসে বাবার জন্য দোয়া করেন কোয়েল। তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘গত বছরও বাবা ছিল, এবার নেই। আমরা বাবাকে কিছুই দিতে পারিনি। এখন একটাই প্রার্থনা আল্লাহ আমাদের দোয়া যেন কবুল করেন; বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দেন।’

১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও ১৯৭৬ সালে তার জীবনের গতি ঘুরে যায়। আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ মুক্তি পেলে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কীর্তিমান এই অভিনেতাকে।