আইন ও অপরাধ

আশুলিয়ায় অধ্যক্ষ হত্যা: দুজনের স্বীকারোক্তি, একজন রিমান্ডে

ঢাকার আশুলিয়ায় সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় দুজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর এক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই মিলন ফকির তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাদের মধ্যে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অংশীদার রবিউল ইসলাম ও তার ভাগ্নে বাদশা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং মোতালেব হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান সিকদারের আদালত বাদশার এবং আরেক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান আসামি রবিউলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান আসামি মোতালেব হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সাত দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে আশুলিয়া থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১৩ জুলাই থেকে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ নিখোঁজ ছিলেন। তাকে খুঁজে না পেয়ে গত ২২ জুলাই তার ছোট ভাই রিপন চন্দ্র বর্মণ আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করেন। মিন্টু চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অংশীদার রবিউল ও মোতালেব ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন। রোববার মধ্যরাতে রবিউলকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করে র‌্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানান, গত ১৩ জুলাই রাতে রবিউল ও তার ভাগ্নে বাদশা অধ্যক্ষকে হত্যা করেন। স্কুলে সান্ধ্যাকালীন কোচিংয়ের পরে রাত ৯টায় রবিউল ও বাদশা অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে স্কুলের ৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন। প্রথমে বাদশা তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে রবিউল ও বাদশা মিন্টু চন্দ্রকে ছয় টুকরা করে পাঁচ টুকরা স্কুলের ভেতরেরই মাটি চাপা দেন। আরেক অংশ পলিথিনে মুড়িয়ে রাজধানীর আশকোনাতে একটি ডোবায় ফেলে দেন। মোতালেবকে রাজধানীর আশকোনা থেকে এবং বাদশাকে রংপুরের সুন্দরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।