ক্যাম্পাস

মনে পড়ে ক্যাম্পাসের দিনগুলো 

তুমি থাকবে স্মরণে, তুমি থাকবে হৃদয়ে, তুমি থাকবে ভালোবাসার জায়গাকে ঘিরে। নতুন করে সাজাবো মনের এই আঙ্গিনাতে। বলছিলাম, ক্যাম্পাসে কাটানো বিশেষ কিছু মুহূর্তের কথা, যা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। করোনায় দীর্ঘ দিন বাড়িতে থাকা শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসের এমন কিছু স্মৃতিচারণ করেছেন। তাদের এ স্মৃতিগুলো তুলে ধরেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন। 

রেজওয়ান আহম্মেদ, শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

ছুটি মানেই সীমাহীন আনন্দ, আমরা খুঁজে পাই যন্ত্রণাময় পড়াশোনার চাপ থেকে মুক্তি। কিন্তু এই চলমান ছুটি অনিশ্চিত, অদ্ভুত রকম অনির্দৃশ্য। দীর্ঘ দিন ঘরবন্দি থাকার ফলে ক্যাম্পাসের প্রতি মায়ার টান যেন আরও গভীরভাবে অনুভব করছি। 

সবচেয়ে বেশি স্মৃতিবহুল অদম্য বাংলার পাশের ট‌ঙ দোকানগুলোতে চায়ের কাপে ধোঁয়া ওঠে না আজ অনেক দিন, তপনদার মুখের সেই চিরচেনা হাসি নেই। স্বাভাবিক সময়ে অধিকাংশ সময়ে ৮টা থেকে ৫টা অবধি ক্লাস, পরীক্ষা বা ল্যাব থাকতো। এসবের ক্লান্তি ঝাড়ার জন্যও আমাদের অনুষঙ্গ দরকার হতো। ক্লাসের ফাঁকে সদলবলে ছুটে যেতাম ঠিক অদম্য বাংলার পাশের জায়গাটাতে। আমাদের অঘোষিত টিএসসি (তপন, হুমায়ুন, সাইদুল ভাই আর ভাবীর টং দোকান) যেন ওইটা।  

শুধু আড্ডা দেওয়া ক্লান্তি দূর করার জন্যই না, মাঝে মাঝে এই টঙগুলোতে সিনিয়র-জুনিয়র একসাথে জড়ো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর কাজে। এমনকি ছুটির দিনে প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বাইরের দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখরিত হয় এই জায়গা। সাধারণ খাবার এর পাশাপাশি ব্যতিক্রমী ঝাল চা আর বিষে ভরা নাগিন (চটপটি) খেতে আসেন অনেকেই। 

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই জায়গায় যাওয়ার অনুমতি থাকে না বললেই চলে। তখন আরও বেশি ফ্যান্টাসি কাজ করতো। এই দোকানগুলোর খাবারও খুব দামী বা উন্নতমানের না হলেও জায়গাটাতে একটা অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করে। ‘হ্যাঁ, মামা এক কাপ চা আর একটা সিঙ্গারা।’ এই ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ, হাজারো বিচ্ছেদ, হতাশা আর ক্লান্তির প্রত্যক্ষদর্শী। এ কাপগুলা যেন অবিনশ্বর, হাজার বছর বয়স ওদের, ওরা চির যৌবনা।

তানজুম কবির, শিক্ষার্থী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

কোভিড-১৯ এর ফলে দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ আমাদের প্রিয় যবিপ্রবির ক্যাম্পাস। তো সেই থেকেই বাসায় চার দেয়ালের মাঝে আটকে আছি। মাঝে মাঝেই ক্যাম্পাসের কথা মনে পড়ে নস্টালজিক হয়ে পড়ি। প্রতিদিন সকালে লালবাসে করে ক্যাম্পাসে যাওয়া, বন্ধুদের সাথে ক্লাস করা।শিক্ষকদের স্নেহ, সিনিয়রদের সাথে গল্প করা, ক্যাফেটেরিয়ার চা, রাস্তার পাশে টঙের দোকানের ধুলামাখা সিংগাড়া আর বন্ধুদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা। অদম্যতে বন্ধুদের জন্মদিন পালন করা আর ভাইভার দিনে ফটোশুট কিংবা বিশেষ দিনে শাড়ি পাঞ্জাবি পরে কাপলদের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। আরো আছে পরীক্ষার আগে লাইব্রেরিতে বই পড়া কিংবা ফটোকপির দোকানে ভিড় জমানো। সে আরও কত কি? 

সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে প্রতি ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে করিডোরে সিনিয়র-জুনিয়র সবার একসাথে আড্ডা। এ যেন এক দৈনিক মিলনমেলা। এখানে গেলেই ক্যাম্পাসের খুটিনাটি সব তথ্য পাওয়া যায়। সে সবই এখন সোনালী অতীত। যখনই খুব বেশি মনে পড়ে, তখনই ফোনের গ্যালারির ছবিগুলো দেখি আর কিছুটা হলেও ফিরে যায় সেইসব দিনে। এখন একটাই প্রত্যাশা যেন সুস্থ এক পৃথিবীতে আবার ফিরে যেতে পারি যবিপ্রবির বুকে।

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথের সোনা ঝরা বিকেলে, আবার আড্ডা হবে শান্ত চত্বরে। প্রাণের মেলবন্ধনে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের ভিন্ন-ভিন্ন জায়গা থেকে আসা, ভিন্ন মনমানসিকতা, ভিন্ন সংস্কৃতি আর ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষ ক্যাম্পাসের বন্ধুত্বে যেন এক হয়ে যায়। আর ক্যাম্পাস বন্ধুত্ব মানেই আড্ডা।ক্যাম্পাসজীবন যেন বন্ধুত্ব আড্ডা, শিল্প-সাহিত্য ও ভালোবাসার ছোঁয়ায় ঘেরা, যা একজন মানুষের জন্য অনেক বেশি দরকার। কখনো গানে গানে, কখনো ছোটখাটো খেলায় মেতে ওঠে এসব আড্ডা। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে কিংবা পড়ন্ত বিকেলে ক্যাম্পাসে ফুটে ওঠে এক দারুণ প্রতিচ্ছবি। তেমনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আড্ডার এক অন্যতম প্রিয় জায়গা হচ্ছে শান্ত চত্বর। 

ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর হাতের বা'পাশে দেখা মেলে শান্ত চত্বর। এখানেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আড্ডা এবং খোশগল্পে জমে থাকতে দেখা যেত। এখন প্রতিদিন খুব মনে পড়ে বন্ধুদের সাথে নিজের ক্লাসরুমে কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা, শান্ত চত্বরে সবার একসাথে আড্ডা দেওয়ার কথা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে জমে ওঠে আড্ডা। তবুও শান্ত চত্বরের গান আড্ডা যেন অন্যরকম এক অনুভূতি। শুধু তাই নয়, খুনসুটির ফাঁকে এখানে বন্ধুদের পড়াশোনার আলাপ-আলোচনাও চলতো। কঠিন বিষয়টি সহজ করতে ও পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর করতে তাদের এই আয়োজনটি ছিল নজরকাড়া। 

ক্লাসের ফাঁকে অ্যাসাইনমেন্টের চাপে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জুড়িয়ে নিতে হরহামেশায় ছুটে আসতো সবার প্রিয় এ শান্ত চত্বরে। এ শান্ত চত্বরটি জানে অগণিত জবিয়ানের মনের কথা। এখানে বসেই তো তারা কত রঙের ভবিষ্যত আলপনা এঁকেছেন, সারা মাসের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মাথা ব্যথা এনেছে, পরিবারের জন্য নীরবে দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছে-তার সবটাই সে নীরব কানে শুনেছে, কাতর হৃদয়ে অনুভব করেছে। 

কোথা থেকে যেন ঝড় এসে সবটা এলোমেলো করে দিল। জাতীয় দিবসগুলোর রাতে আলোকসজ্জায় নতুন প্রাণে জেগে উঠত জবির এ প্রাণকেন্দ্রটি। এর দু'দিক থেকে বয়ে পড়া পানির ফোয়ারার সৌন্দর্য যে কোন অস্থির মনে নিমিষেই প্রশান্তির ছোঁয়া আনতো। আর ঠিক তখনই এখানে চলত বন্ধুদের মাঝে সেলফি তোলার প্রাণবন্ত চঞ্চল এক উৎসব। শুধু কি তাই। এখানে দর্শনার্থীদেরও ভিড় জমতো চোখে পড়ার মতো। মায়াবী এ শান্ত চত্বরের আড্ডা যেন জবিয়ানদের প্রাণের মেলবন্ধনের আড্ডা।

মাসুদ রানা, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

‘‌মাসুদ ওঠ, অই বন্ধু ওঠ, ফজরের আযান দিছে রাতে বরশি পেতেছিস, তুলতি হবি না, নাকি সব কাজ আমার একার করতি হবি’ রাগান্বিত  আড়চোখে অবহেলার কণ্ঠে, আমার ঘুম ভাঙলো।  হুম বরশি। মাছ, মফিজ লেক। মফিজ লেক, সূর্যদেবের অস্ত যাওয়ার অপরূপ দৃশ্য, কুয়াকাটা ব্যতিত বাংলাদেশের অন্য কোথাও দেখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে আসতে বলবো। বিশালাকার গাছের সমস্ত পাতা, শাখা প্রশাখা ঘুরে, অবশেষে তার শিকড়েই এসে তার শক্তির সন্ধান করতে হয়। ঠিক তেমনি যেন, ইবির মফিজ লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার শক্তির উৎস। মাঝে মধ্যে বন্ধুরা বলেই ফেলে, ধুর কিছুই ভালো লাগছে না।  

‘চল মফিজ লেক থেকে শক্তি নিয়ে আসি’। সেই সুন্দর মফিজ লেকের মাছও খেতে সুন্দর হবে এই আশায় বরশি পেতেছিলাম সবার অজান্তে। মাছের যা প্রতাশা করেছিলাম তার থেকে প্রাপ্তিই বেশি ছিল।  মাছ শিকারে আমি,  জামির ও রবিন আর রিদিতা সোনিয়া ও মেঘলা রান্নার দায়িত্বে। কলার পাতায় করে মফিজ লেকের তাজা শিং, টাকি ও মাগুর মাছের ব্যঞ্জনের সাধ অতুলনীয়। ইবির মফিজ লেকের মায়ায় এতটাই আবদ্ধ যে, রাত ২টায় লেকের সাপ ও মশার কামড়, বুক কাপানো কবরগুলোর নিছক ভয়কে উপেক্ষা করে, কাঠের পুলের উপরে বসে লেকের জলে পা ডুবিয়ে, পূর্ণিমার চাঁদ ও তার জোছনা উপভোগ করতে কৃপণতা করিনি। 

ক্যাম্পাসের মফিজলেকের অতিথি পাখি, গাছগাছালি খেকে শুরু করে কচুরিপানা এমনকি, সাপ ও যেন সবাইকে ভালোবাসে।  লেকে পড়ারত অবস্থায় সাপ পায়ের কিঞ্ছিত পরিমাণ পাশ দিয়ে গেলেও কাউকে কখনো কামড়ায়নি।  রঙে সমৃদ্ধ টাওয়ার সাথে মনোমুগ্ধকর আলোয় সজ্জিত সাঁকো এবং হাজারো ফুল ফল গাছ দ্বারা আচ্ছাদিত মফিজলেকের মায়াজালে আবদ্ধ আমরা গর্বিত ইবিয়ান।

আয়শা সিদ্দিকা উর্মি, শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

সকাল হলেই কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে রওনা হতাম ক্যাম্পাস অভিমুখে। ক্লাস থাকুক আর না থাকুক ক্যাম্পাসে যেতেই হবে। এ যেন নিত্য দিনের বাধ্যতামূলক কাজ। সকালের নাস্তা ভার্সিটি ক্যান্টিনেই করতাম। তবে এগুলো এখন শুধুই অতীত। করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এখন আর সেসব কিছুই করা হয় না। ক্যাম্পাসের প্রতিটি অংশেই একেকটা মধুর স্মৃতি রয়েছে। তবে সবথেকে বেশি যে জায়গাটা মিস করি তা হলো টিএসসি। ক্লাসটাইম ব্যতীত টিএসসিতেই আমরা (বন্ধুরা) বেশি সময় কাটাতাম। একসাথে সাত -আটজন বসে আড্ডা দিতাম।

কখনো আমাদের বেসুরো কণ্ঠে সবাই একসাথে গান গাইতাম আবার কখনো বা ইরানের কৌতুক শুনে হেসে গড়াগড়ি দিতাম। মাঝে মাঝে মিরান নুডুলস, সেমাই, পাস্তা, পুডিং বানিয়ে নিয়ে আসতো। ছেলে হলেও রান্নায় ওর হাত বেশ পাকা। অল্প একটু খাবার সবাই মিলে ভাগ করে খেতে কী যে আনন্দ ছিল তা বলে বোঝানো যাবে না। বিকেলবেলা বাসায় ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল রঙের বিআরটিসি বাসে করেই ফিরতাম। বাসায় ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পেলেও সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় কখনোই বাস পেতাম না। কালো রঙের মাহিন্দ্রা গাড়িই থাকতো তখন একমাত্র সম্বল। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অতি স্বল্প। ভর্তির দুই মাসের মাথায় করোনা মহামারির অশুভ থাবায় দেশে লকডাউন জারি করা হয়। এরপর থেকেই বাসায় আছি। বরিশালে থাকার সুবাদে মাঝে মধ্যেই ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ঘুরতে যাওয়া হয়। তবে পুরনো সেই আনন্দ আর উল্লাসটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহুর্তগুলো এখন শুধুই স্মৃতির পাতায় আল্পনা এঁকে চলে।

নাজিউর রহমান অনিক, শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)

বিশ্ববিদ্যালয়, এই নামটার সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি। অনেক ব্যর্থতার পরে আমি ঢাকার একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই ‘বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার অনেক মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। একটি স্মৃতি, দিনটি ছিল ২০১৯ সালের ২৪–২৫ শে ডিসেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয় এবং বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছিলেন ‘টেক্সটাইল ডে–২০১৯ (Textile Day)’। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর এটাই ছিল আমার সব থেকে বড় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজন আমরা নিজেরা করেছিলাম। ১ সপ্তাহ আগে থেকে আমরা অনুষ্ঠান সফল করার উদ্দেশ্যে করেছিলাম অক্লান্ত পরিশ্রম। 

দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ‘ফ্যাশন ডিজাইন’ সম্পর্কিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়েরা। কি-নোট স্পিকার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার ‘বিবি রাসেল’। তিনি বর্তমান ও ভবিষ্যত টেক্সাইল ও ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে আমাদের দিয়েছিলেন সুস্পষ্ট ধারণা। সেমিনার শেষে আমরা শিক্ষার্থীরা অতিথিদের বিভিন্ন প্রদর্শনী উপস্থাপন করেছিলাম। যেমন- পাটের পলিথিন, তৈরিকৃত পোশাক, সুতা দিয়ে আঁকা বাংলাদেশের মানচিত্র স্মার্ট টেক্সটাইলসহ আরও অনেক উপকরণ ছিল, যা সব কিছু তৈরি হয়েছিল আমাদের শিক্ষার্থীদের হাতে।  

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন আমরা আয়োজন করেছিলাম মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে আমারাসহ আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সব চেয়ে স্মরণীয় দিন। করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনেক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারিনি। সুস্থ হোক পৃথিবী।