আইন ও অপরাধ

রিমান্ডে যাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন পরীমনি

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে রিমান্ডে থাকাকালে জিজ্ঞাসাবাদে নায়িকা পরীমনি ঘটনা ও ঘটনার নেপথ্যের মূল হোতাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

গত ১৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (নি.) কাজী গোলাম মোস্তফা আসামি পরীমনির আবারও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।  রিমান্ড আবেদনে এ কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা।  বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীমনির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিকে, বুধবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে পরীমনি জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। রিমান্ড আবেদন থাকায় আদালত তা পিছিয়ে বুধবার ধার্য করেছেন। এদিন পরীমনির আইনজীবী জামিন আবেদন তুলে নেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পরীমনিকে রিমান্ডে নিয়ে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের শেষ দিকে আসামি মামলার ঘটনা ও ঘটনার নেপথ্যে মূল হোতাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার দেওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরীমনিকে ইতিপূর্বে আদালতের আদেশে পুলিশ রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য দিয়েছে তা সঠিকতাসহ মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের গ্রেপ্তার, মাদকদ্রব্যের মজুদ উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসার পিছনে অর্থের যোগানদাতাদের খুঁজে বের করার জন্য পুনরায় ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

তাকে রিমান্ডে পাওয়া গেলে মাদক ব্যবসায়ী মূল হোতাদের গ্রেপ্তার, মাদকদ্রব্যের অবৈধ উৎসসহ অপরাপদের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হবে। পরীমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্তরালে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছে মর্মে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে আবেদনে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে ওইদিনই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিন আবেদন করেন।  আদালত ১৮ আগস্ট জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে পরীমনি কারাগারে আছেন।