লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় তাহের হত্যা মামলার ২০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘রাতের অন্ধকারে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ সময় সাক্ষীরা হত্যাকারীদের দেখেননি। সাক্ষীদের সাক্ষ্যে এজাহারভুক্ত আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এজন্য বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন। রায়ের সময় আদালতে সাত আসামি উপস্থিত ছিলেন।’
তাহের দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান নূর হোসেন শামীমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর রাতে শামীমের দত্তপাড়ার শ্রীরামপুর গ্রামের বাড়িতে তাহেরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরের দিন তাহেরের বাবা ফজলুল করিম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিদের মধ্যে দুজন বিএনপি নেতা ও বাকিরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। ওই মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন নূর হোসেন শামীম। ২০১৩ সালের ১৫ মে শামীম পার্শ্ববর্তী দিঘলী ইউনিয়নের আরেক সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলায় পুলিশি তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। পরবর্তী সময়ে তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী আলাউদ্দিন এজাহারভুক্ত আসামিদের নির্দোষ হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বাদী ফজলুল করিম সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বসু দেব শীল এজাহারভুক্ত ১৭ আসামি ও আরও তিন আসামির নাম উল্লেখ করে ২০১৫ সালের ২২ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর ভিত্তিতে দীর্ঘ শুনানি ও ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। তাদের সাক্ষ্য অনুযায়ী আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) আদালত আসামিদের খালাস দেন।