আইন ও অপরাধ

এসকে সিনহাসহ ১১ জনের রায় ৫ অক্টোবর

ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ৫ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন।

এসকে সিনহাসহ ৪ আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়নি। অন্য ৭ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, শাহীনুর ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তারা আসামিদের খালাস দাবি করেন।

এদিকে, এদিন মামলার শুনানি চলাকালে ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী)। কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আবার দুপুর ১ টার দিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।

গত ২৯ আগস্ট মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে এসকে সিনহাসহ চারজন পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ শুনানিতে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। অন্য ৭ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ।  গত বছর ১৩ আগস্ট একই আদালত ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে।  ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন।  সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক।