রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৃষক মোফাজ্জল হোসেন ছিলেন দর্জি পেশার সঙ্গে জড়িত। ২০১৭ সালে বাড়ির উঠানের ১৬ শতাংশ জমিতে শখের বশে মাল্টা চাষ শুরু করেন। নিজেই পরিচর্যা করে তিন বছরের মাথায় স্বল্প খরচে কৃষি বিভাগের পরামর্শে সাফল্যের মুখ দেখেছেন এই মাল্টা বাগান থেকে।
৫০ টি গাছ নিয়ে শুরু করা বাগান থেকে এ বছর লাখ টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন ষাটোর্দ্ধ কৃষক মোফাজ্জল।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের মুনশিপাড়া জগজীবন এলাকায় মোফাজ্জলের বাগান ঘুরে দেখা গেছে সবুজ পাতার সমারহে থোকায় থোকায় দোল খাচ্ছে মাল্টা।
বারি মাল্টা-১ গ্রিন জাতের সুমিষ্ট একেকটি মাল্টার ওজন প্রায় ২০০-৩০০ গ্রাম। চাহিদা ভালো হওয়ায় বাগান থেকেইে এই মাল্টা পাইকারী প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রর কথা জানান কৃষক মোফাজ্জল হোসেন।মোফাজ্জল হোসেনের মতো লাভ ও ফলন ভালো দেখায় এলাকার অনেকেই এখন এই মাল্টা চাষের দিকে ঝুকছেন। এলাকাবাসি ও নতুন উদ্যোক্তরাও প্রতিদিন দেখতে আসেন এই মাল্টা বাগানটি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নে এখন অনেকেই মাল্টা ও ড্রাগন চাষের দিকে ঝুকছেন। এসব মাল্টা বাগান ঘুরে দেখলে মনে একটা আলাদা প্রশান্তি লাগে। কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে মোফাজ্জেল এই বাগান গড়ে তুলেছেন বলেও জানান তিনি।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আহসানুল হক বলেন, রংপুরের পীগছায় গত তিন বছর থেকে নতুন করে ৮-১০ টি মাল্টা বাগান ছোট পরিসরে শুরু হয়েছে। বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে হারভেস্ট হওয়া গ্রিন জাতের এই মাল্টা তিন বছর বয়সের একেকটি গাছে প্রায় ৩০-৪০ কেজি ফলন এসেছে। স্বল্প খরচে ফলন বেশি ও লাভ ভালো হওয়ায় এখন এই উপজেলার অনেকে মাল্টা চাষের পরামর্শ নিতে আসছেন।