খেলাধুলা

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে পাকিস্তান

সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নাকি রানার্সআপ সেটার হিসেব মেলানোটা বাকি ছিল। রোববার (৭ নভেম্বর) সেই হিসেবও চুকে গেলো।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানের ব্যবধানে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখায় বাবর আজমের দল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।

১১ নভেম্বর রাত ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। আর আগের দিন ১০ নভেম্বর আবুধাবিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় পাকিস্তান। বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ১৮৯ রান তোলে। ঝড়ো ইনিংসে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান ৩৯ বছর বয়সী মালিক।

আর মাত্র ১৫ রান করলেও এক পঞ্জিকা বর্ষে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ষপঞ্জীতে সর্বোচ্চ রানে ক্রিস গেইলেকে পেছনে ফেলেছেন। ২০১৫ সালে গেইল ১৬৬৫ রান করেছিলেন। রিজওয়ান ইতিমধ্যে ১৬৭৬ রান করেছেন। ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন বাবর। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৫টি ও ছয়ের মার ছিল ৩টি। মাঝে হাফিজ ১৯ বলে খেলেন ৩১ রানের ইনিংস।

বাবর-হাফিজরা ফিরে গেলেও পাকিস্তানের রানের চাক থামেনি। শেষ বলে ৬ হাঁকিয়ে মাত্র ১৮ বলে ফিফটি করেন মালিক। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ১টি আর ছয় ৬টি। আসিফ আলির সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে শেষ ১৫ বলে যোগ করেন ৪৭ রান। পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড নিজের করে নেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে উমর আকমল ২১ ও ২২ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে বিশ্বকাপে এটি যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি।

১৮ বলে এর আগে ফিফটি পেয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও লোকেশ রাহুল। বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির মালিক যুবরাজ সিং। মাত্র ১২ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের স্টিভেন মাইবার্গ ১৭ বলে ফিফটি করেছিলেন। স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন ক্রিস গ্রিবস। ১টি করে উইকেট নেন হামজা তাহির ও সাফইয়ান শরীফ।

টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কটল্যান্ড থামে ১১৭ রানে। শুরুটা ভালো হয়নি স্কটিশদের। ৫.৩ ওভারে ওপেনার কাইল কোয়েটজার ফেরেন ১৬ বলে ৯ রান করে। দ্রুত ফেরেন ম্যাথু ক্রস (৫) ও ওপেনার জর্জ মানসি (১৭)।

রিচি বেরিংটন এরপর খেলার হাল ধরার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। তিনি ৩৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার সপ্তম ফিফটি। শেষ দিকে মাইকেল লিস্ক ১৪ রান করেন। ২ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্ক ওয়াট।

৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শাদাব খান। ১টি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও হাসান আলী।