খেলাধুলা

ডিসেম্বরে বিসিএল, খেলা হবে ওয়ানডে ফরম্যাটেও

চলমান জাতীয় লিগের পরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) মাঠে গড়াবে। এবার শুধু চার দিনের ক্রিকেটই নয়, ওয়ানডে ফরম্যাটেও হবে এই প্রতিযোগিতা। চার দলের দুটি টুর্নামেন্টই হবে সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল।

বৃহস্পতিবার এই টুর্নামেন্ট নিয়ে মিরপুরে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘বিসিএল আয়োজন করতেই হবে। ডিসেম্বরের ৭-১০ তারিখের মধ্যে শুরু হবে। এবার ওয়ানডে ফরম্যাটের কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। যেহেতু প্রিমিয়ার লিগের আগে অনেক দিন খেলা নেই ওয়ানডে ফরম্যাটে। তারা (ফ্র্যাঞ্চাইজি) চাচ্ছিল টি-টোয়েন্টি। আমাদের হাতে সময়ও নেই যে এই সময়ে ডাবল লিগে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারব। আমাদের বিপিএলও আছে সামনে।‘

বিসিএলের চার দিনের টুর্নামেন্টের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। বিসিবির সভায় উপস্থিত থাকা দলটির ম্যানেজার মিলটন আহমেদ বললেন, ‘যেহেতু অনেকদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনো ওয়ানডে খেলা হচ্ছে না সেজন্য এই ফরম্যাটের কথা চিন্তা করা হয়েছে। তাছাড়া আইসিসি সুপার লিগের অংশ হিসেবে দেশের বাইরে বাংলাদেশের কয়েকটি ওয়ানডে সিরিজ আছে। বিশেষ করে মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এসব ব্যাপার মাথায় রেখে এই ভাবনা।’ 

২০১৫ সালে পাকিস্তান সিরিজের আগে চার দিনের পরিবর্তে ওয়ানডে ফরম্যাটে বিসিএল আয়োজন হয়েছিল। চার দলের টুর্নামেন্টে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। এবারো টুর্নামেন্ট যেন ভালো হয় সেদিকে এখন থেকেই নজর দিতে চান খালেদ মাহমুদ, ‘গ্রাউন্ডসকে বলা হয়েছে ভালো এবং বাউন্সি উইকেট যেন তৈরি করতে পারে। আমরা কোন মাঠে খেলা দেব কিংবা কোন মাঠ ফাঁকা রাখব, সেটা এখন থেকেই ঠিক করতে পারি।’

দেশের আট বিভাগকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে আয়োজিত হয় বিসিএল। ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো নিয়ে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগকে নিয়ে বানানো পূর্বাঞ্চলের সত্ত্ব ইসলামী ব্যাংকের। বরিশাল ও খুলনা বিভাগকে নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগকে নিয়ে তৈরি উত্তরাঞ্চল দল। দুটি দলই বিসিবি পরিচালনা করে থাকে।

ডিসেম্বরে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। মাসের মাঝদিকে বাংলাদেশ উড়াল দেবে নিউ জিল্যান্ড সফরে। বিসিএলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে না। সামনে প্রিমিয়ার লিগও আছে। সেখানেও তাদের পাওয়া যাবে না। থাকবেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে।

জাতীয় দলের খেলোয়াড় না থাকলেও দেশের সবকটি ঘরোয়া লিগ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন খালেদ মাহমুদ, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করলে বাংলাদেশে তো আর খেলা হবে না। ওদের যে ব্যস্ত সূচি সেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে কোনো খেলা সম্ভব না। ওদের ছাড়াই বিসিএল খেলতে হবে। আমরা বিপিএলটাকে শুধু গুরুত্ব দেই কারণ টি-টোয়েন্টিতে উন্নতির জন্য এই টুর্নামেন্টটা খেলতে হবে।’