সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ম দফায় দ্বিতীয় দিনে আদালতে সাক্ষ্য দিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
জানা গেছে, খায়রুল আলমের জবানবন্দি শেষ হলেও আংশিক জেরা শুরু করে আসামি পক্ষ। পরে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হকের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফরিদুল আলম বলেন, 'জামিলুল হক ছিলেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে এ মামলার দায়িত্ব নেন মো. খায়রুল ইসলাম। জামিলুল হকের জবানবন্দি ও অসমাপ্ত জেরা শেষ হয়েছে। এরপর খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের একজন আইনজীবীর জেরার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালত দ্বিতীয় দিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষ করেন। বুধবার খায়রুল ইসলামকে ফের জেরা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেজর অব. সিনহা হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৬৫ তম সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষ হলেও জেরা বাকি রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
পরে ৪ মাস তদন্ত করে ১৫ জনকে এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে এএসপি মো. খায়রুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর।