অন্য দুনিয়া

জটিল রোগ নিয়ে জন্ম নেওয়ায় জরিমানা গুণছেন চিকিৎসক

জটিল রোগ নিয়ে জন্মের চেয়ে না জন্মানোই উচিত ছিল— এমন দাবি করে মায়ের গর্ভকালীন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। এখন সেই চিকিৎসককে গুণতে হচ্ছে জরিমানা।

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা এই নারীর নাম এভি টোম্বিস। তিনি ঘোড় দৌড়বিদ। স্পাইনা বাইফিডা রোগে আক্রান্ত তিনি। এটি এক ধরনের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট অর্থাৎ স্নায়ুবিক ত্রুটি। শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মেরুদণ্ড এবং স্পাইনাল কর্ড যদি ঠিকঠাকভাবে গড়ে না ওঠে তখন স্পাইনা বিফিডা হয়ে থাকে। এভির অভিযোগ তার মা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন চিকিৎসক তাকে ঠিকমতো পরামর্শ দেননি। এ জন্যই এখন তাকে এই রোগে ভুগতে হচ্ছে।

এভি দাবি করেছেন, চিকিৎসক ফিলিপ মিশেল যদি তার মাকে ফলিক এসিড খাওয়ার পরামর্শ দিতেন তাহলে এটির ঝুঁকি কম হতো। অথবা তার মা হয়তো অন্তঃসত্ত্বা হতে চাইতেন না। তার মানে এভি পৃথিবীতেই আসতেন না।

বিচারক রোজালিন্ড কোয়ে কিউসি এভির এই মামলা সমর্থন করেছেন। এটি লন্ডন হাই কোর্টের বিচারের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক বলে জানান তিনি। বিচারকের মতে, যদি চিকিৎসক সঠিক পরামর্শ দিতেন তাহলে এভির মা সন্তান নেওয়ার ব্যাপারে আরো সময় নিতেন বা ভাবতেন। ফলে তার সন্তান স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিতো।

এভির আইনজীবী জানান, এখন পর্যন্ত এই রোগের চিকিৎসার জন্য তার মক্কেলের কত টাকা খরচ হয়েছে তা হিসাব করা হয়নি। তবে সারাজীবন চিকিৎসার জন্য তাকে অনেক অর্থ গুণতে হবে।

যদিও এর আগে এভির মা আদালতকে জানিয়েছেন, চিকিৎসক মিশেল তাকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, অতীতে সুষম খাবার খেয়ে থাকলে আমাকে ফলিক এসিড খেতে হবে না।’

এই মামলাটিকে যুগান্তকারী হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এরপর থেকে জটিল সমস্যা নিয়ে কোনো শিশু জন্ম নিলে পরামর্শ দেওয়ার জন্য চিকিৎসকে এর দায় নিতে হবে।