শিল্প ও সাহিত্য

লাল মোরগের ঝুঁটি: মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার ফাইটব্যাক

যে বীজবৃক্ষ হয়তো গত শতাব্দীর সিক্সটিজে অঙ্কুরিত, বিকশিত, সেই গাছ আজ পঞ্চাশের কোঠায় উত্তীর্ণ। গাছের ডালপালা ছড়িয়েছে। গাছ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে। আজ গাছে অনেক পাখি, কিচিরমিচির মূর্ছনা হয় সন্ধ্যায়।

বলছিলাম যে- গাছের ডালপালা ছড়িয়েছে! কোনো কোনো ডাল কি পচেও গেছে? পাতা তো ঝরেই। আবার নতুন পাতা আসে। পচা ডাল ভেঙে পড়ে গেলে তা স্রেফ খড়ি, কিন্তু নতুন ডাল কি গজায় না? ‘জাতীয়তাবাদ’ কি গাছের মতো? জাতীয়তাবাদের ডালপালা বিকশিত হলে একদিন কি তার কোনো কোনো ডাল পচেও যায়? গত শতকের সিক্সটিজে আমরা যতটা বাঙালি এবং জাতিগতভাবেই ১৯৭১-এ আমরা যতটা বন্দুক, রাইফেল, কামান-বোমার মুখে পড়েছি, আগে-পরে তো তেমন ইতিহাসই নেই আমাদের, এই জনপদের। এত প্রাণসংহার আর কখনো হয়নি। এত নিষ্ঠুরতা আগে সহ্য করেনি বঙ্গোপসাগরের কোলে পা দোলানো ছোট্ট মেয়ে বাংলাদেশ। হয়তো সে কারণেই সেই সিক্সটিজে বাঙালি যতটা ‘আদর্শিক বাঙালি’- যার অনিবার্য পরিণতি মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১; এবং আমরা দেখলাম, এর পরে স্বাধীন বাংলাদেশে সেই চৈতন্যে ভাটা পড়ে গেল।

তাই আজ, এই ২০২১ বা ২২ সালে পৌঁছে হয়তো সেভাবে টের পাওয়া নাও যেতে পারে যে, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিটি এখন যে তাপমাত্রা প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে, ১৯৭১-এ এই ধ্বনিবন্ধ প্রতিষ্ঠা করেছে অন্য এক মাত্রা। শত্রুর মুখোমুখি জীবন বাঁচাতে বা নিজেদের বাঁচাতে সেদিন ‘জয় বাংলা’র যে প্রত্যয় দীপ্তি ছিল, সেটি স্বীকার করে আসতে হবে।  আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা দিয়ে ১৯৭১-এর রাজনৈতিক বাস্তবতা মাপার সুযোগ নেওয়া যাবে না। আজকে তো আমরা বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি বিহারীরা জেনেভা ক্যাম্পে  আটকে পড়া অমানবিক জীবন কাটানো মানুষ; না তারা বাংলাদেশের নাগরিক, না তারা ভারতের বিহারের কেউ, না তাদের পাকিস্তানে ফেরা হলো! জহির রায়হান তাঁর গল্পে চিত্রিত করেছেন- সবই হয় সময়ের প্রয়োজনে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আজকের সময়ের প্রয়োজন।

আমরা দেখেছি, সেদিনের, ১৯৭১-এর সময়ের প্রয়োজন। সেদিন ‘জয় বাংলা’ ধনি বাঙালির ‘ওঙ্কার’ বিশেষ, আজ তা অনেকের কাছেই যেমন বিশেষ আবেগের, ঐতিহাসিকভাবেই পরম বেঁচে থাকার মন্ত্র, আবার অনেকের কাছেই তা স্রেফ রুটি-রুজি-হালুয়ার ফন্দি। এই অমর শব্দধ্বনিকে যখন কেউ ফায়দার জন্যে ব্যবহার করে, তখন অনেকেই পীড়িত হয়। মন্ত্র তখন হোয়ে ওঠে হুঙ্কার। ১৯৭১, বিহারীরা সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী। কাজেই বাঙালি নিধনে উৎসাহী তাদের ইতিহাস। তারা সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুরতার দোসর। বাঙালি নারী ধর্ষণে আনন্দিত। পাকিস্তানি সেনাদের মেজাজ খোশ রাখতে সেদিন তারা বাঙালি যুবতি নারী ধরে আনায় ব্যস্ত, আজকে তারা বাংলাদেশে ক্যাম্পের বাসিন্দা, মানবিকভাবে বন্দি।

অনেকেই বলে ‘আটকে পড়া’ বিহারী। সেদিন যারা পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মিলে বাঙালিদেরই নিজভূমে আটকে ফেলেছিল, হত্যা করেছিল, ধ্বংস করতে উঠে-পড়ে লেগেছিল। বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই এটা হয়েছে। সৈয়দপুরেও এরকম হয়েছে। ওখানে বাঙালিদের বন্দি করে দাস বানিয়ে এয়ারপোর্ট নির্মাণ করার ইতিহাস অনেকেই জানে, কিন্তু একটি ছবিতে সেই চিত্র ধারণ করা হয়েছে। ১৯৭১-এর পাকসেনা ও তাদের সহযোগী হিসেবে বিহারীদের বাঙালি নির্যাতন, দলিল হয়ে উঠেছে সেই চিত্রটি- ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। ছবির নির্মাতা নূরুল আলম আতিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে।

অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, ত্রাস, শাসন থেকে উদ্ভূত বীভৎস্য রসের  ছবি ‘লালা মোরগের ঝুঁটি’- যেখানে বাঙালিরা শুধু শিকারের বস্তু। জনপদের প্রান্তিকে এই ছবির পটভূমি রচিত। ১৯৭১-এর ভয়াল সময়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিধ্বস্ত হওয়ার গল্প ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। এটি প্রান্তিক কিছু বাঙালি চরিত্রের ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার গল্প। অবশ্যই ১৯৭১-এ সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে দেখা, দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শিকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, যদিও তারা ইতিহাসে উপেক্ষিত প্রায়। যুদ্ধ এমন, মুহূর্তেই সব ওলোট-পালোট করে দেয়। 

মুক্তিযুদ্ধের এক উল্লেখযোগ্য শিকার সনাতন ধর্মের লোকেরা, তাদের নারীরা। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ অত্যন্ত আন্তরিকতায় ধারণ করেছে সেই ক্রূরতা। জীবন্ত স্বামী-স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে যে গা কাঁপানো ভয় নেমে আসে মর্তে, তা দেখলাম এই ছবিতে। বাংলাদেশের কত প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের কতরকম ক্রূরতার নিদর্শন রয়েছে, তার সবকিছু লেখা হয়নি। ছবিতে তো ওঠেইনি। মোরগের ঝুটি'তে এরকম অনেক পাশবিকতার চিত্র নিপুণভাবে বিধৃত হয়েছে নির্মাতা নূরুল আলম আতিকের হাতে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ তো আর আদতে লেখক নয় বা মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা মৌখিকভাবেও তাদের কাছ থেকে ধারণ করে রাখা হয়নি। গত পঞ্চাশ বছর আগে হয়ে যাওয়া মুক্তিযুরদ্ধর প্রত্যক্ষদর্শী বা গ্রামীণ গণযোদ্ধাদের স্মৃতি সংকলিত হয়নি। যেটুকু তথ্য, কেন্দ্রের সাংবাদিক-গবেষক-লেখকই ঘুরে এসে, দেখে এসে, শুনে এসে লিখেছেন। সেকারণেই মুক্তিযুদ্ধের বিরাট অংশের ইতিহাস অলিখিত থেকে গেল, থেকে যাচ্ছে। লেখাই যদি না হয়, চলচ্চিত্র পর্যন্ত তা গড়াবে, এটা হওয়া এত সহজ নয়। 

মুক্তিযুদ্ধ ছিল সার্বিকভাবেই একটি গণযুদ্ধ। সেই যোদ্ধারা বা যুদ্ধের অভিজ্ঞতায় রঞ্জিত মানুষেরা এতদিনে প্রায় প্রয়াণের পথে, গত পঞ্চাশ বছরে। গ্রামীণ জনপদের যোদ্ধারা তাদের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে যেতে পারেননি, আর লেখাপড়া জানা লোকও আজকের তুলনায় ছিল কম। লিখেই সংকলিত হয়নি আর সিনেমা হবে কী করে তাদের জীবনকে চিত্রিত করে? মুক্তিযুদ্ধের টেক্সট বলতেই পাঠক বোঝে শহরের শিক্ষিত লোকের লেখালেখি, রেডিও-টিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ও সংবাদপত্রের ক্রোড়পত্র। সেখানে সব লেখা বা কথাই নাগরিক মধ্যবিত্তের। পঞ্চাশ বছরে তো তাই হলো। মৌখিকভাবেও ধরে রাখা হয়নি গণযোদ্ধাদের অভিজ্ঞান। ফলত, সত্যনিষ্ঠ সিনেমা হয়নি তাদের নিয়ে। তবু দিন বদল হয়। বোধগম্যতার বদল হয়। সেদিনের আত্মপ্রত্যয়ের 'জয় বাংলা' আজকের বাংলাদেশে উচ্চারিত হয় একটি রাজনৈতিক শ্লোগানে।

আবার অন্যভাবে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতাও হয়তো কেউ ধারণ করতে চায়, কেউ লিখতে চায় এক জাতিগত ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতায়। কেউ ছবি বানাতে চায়। তাছাড়া এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, এই দেশে পিরিওডিক্যাল ছবি বানানো খুব কঠিন একটা কাজ। গত পঞ্চাশ বছরে সরকারি উন্নয়নের চাপায় পড়ে লোকেশনের রূপান্তর ঘটেছে। জনসংখ্যা বেড়েছে। পুরনো জিনিসপত্র সংরক্ষণে নেই প্রায়। প্রয়োজনীয় সেট-প্রপস বানিয়ে কাজ করা যেতে পারে, হলিউডে যেমন হয়, সেরকম বাজেট তো নেই এখানে! তাই একটি পিরিওডিক্যাল ছবি নির্মাণের চিন্তা মাথায় আনা মানেই একজন নির্মাতার মাথা উড়ে যাবে উল্কা হয়ে- সেটাই বাস্তবতা। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ নির্মাণে গিয়ে নিশ্চয়ই নূরুল আলম আতিকের মাথা উড়ে গেছে! লাল মোরগ টিমের সত্যিকারের দায়বদ্ধ সহযোদ্ধাদেরও মাথা উড়ে গেছে! যাওয়ারই কথা।

এরকম একটি পিরিয়ড জার্নি করতে গিয়ে লাল মোরগ কি কোথাও কোথাও বিচ্যুত হয়ে পড়েনি? কোথাও কি এরকম একবার মনে হয় না যে, যুদ্ধের ভয়াবহতায় মানুষ যেখানে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পার হয়ে যেতে চাচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, তার মধ্যেও এক যুবতি নারী হাড়িয়া মদ বিক্রি করছে, তার কি যুদ্ধে জীবন যাওয়ার ভয় নেই? অবশ্য এমনও সত্য যে, দশজনে পালাচ্ছে দেখেও কেউ একজন পালায় না। কেউ একজন মাটি কামড়ে পড়ে থাকে। কেউ একজন সাহসী বা সাহসিনী হয়। যেমন একটি মোরগ লড়াই করতে নামে আরেকটি মোরগের সঙ্গে। মল্লতে কেউ একজন ধরাশায়ী হয়ই। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি যেমন ধর্ষিতা হয়েছে, আবার বীরপ্রতীক তারামন বেগম বা মুক্তিযোদ্ধা সেতারা বেগমের দেশে বাংলার নারী এরকম সাহসের অনেক প্রেরণা হয়েই কাজ করেছে। নারীই তো দেবী। দেবীই শক্তি। দেবী মা। মাতৃপ্রেম জঠর থেকেই।

‘লাল মোরগের ঝুঁটি’তে এরকম দেবী আছে। আছে ধর্ষিতা বাঙালি নারী। তারা ক্যাম্পে বন্দি। বন্দি অনেক মানুষ। সেই বন্দি বাঙালিদের দিয়েই নির্মাণ চলে সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট নির্মাণের পরিশ্রমী কাজ। তাদের ঠিকমতো খেতেও দেওয়া হয় না। ছবিতে আছে কিছু পাকসেনা, তাদের বর্বর চরিত্রের অভিনয় বিশ্বাসযোগ্য করেছে গল্পকে। লাল মোরগের ঝুঁটির চরিত্রেরা তাদের অভিনয়ে বাস্তবতা দান করেছে। মোরগ লড়াইয়ের দৃশ্য বাংলার অতি প্রাচীন দৃশ্য। ছবিতে মোরগ লড়াই আছে। যুদ্ধদিনে এরকম মোরগ লড়াই একটা দারুণ পোয়েট্রি তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত অনেক ক্ষয়ক্ষতির পর বাঙালিরা জয়ী হয়। পৃথিবীতে একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় ঘটে, বাংলাদেশ। ছবিতে সেসব ধরা পড়েছে। 

‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ বাংলাদেশের সিনেমা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনেক নির্মাণ প্রয়াসই অব্যাহত আছে। অনুভব করি, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ একটি ভালো ছবি হিসেবে দর্শকের অন্তরে পৌঁছবে। আজকের প্রজন্ম যেমন প্রায় সব্বাই হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে ঘোরে, মোবাইল ফোন একটি ডিভাইস। লাল মোরগ দেখতে দেখতে চোখে পড়ল একটি রেডিও। সেই রেডিও থেকে যখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবর আসছে... রেডিও একটা ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে। একদিন সেই রেডিওটা ভেঙে ফেলা হলো। তখন মনে হচ্ছিল, ওটা রেডিও নয়, জীবন্ত কিছু। একবার দেখে একটি ভালো ছবি নিয়ে লেখা যায় না। বছরের পর বছর একদল মানুষ একসঙ্গে মিলে স্বপ্নে, পরিশ্রমে যা নির্মাণ করেছে, মাত্র একবার দেখেই তা সব গোচরে আসবে বা সম্পূর্ণ ঠাহর হবে তেমনটি হয় না। যে কোনো ভালো ছবিই ৩/৪ বার দেখা প্রয়োজন। লাল মোরগ দেখে নিতে হবে আমার, আরও ৩ বার। তারপর ছবির সঙ্গে, নির্মাতার সঙ্গে বোঝাপড়াটা পোক্ত হবে। 

বাংলাদেশে যারা ‘ভালো সিনেমা হয় না’ বলে একটা আক্ষেপ জারি রাখেন আর্ট-কালচারের আড্ডায়, তাদের পিপাসা মেটাতে সক্ষম পাণ্ডুলিপি কারখানার এই ছবিটি। এমন কি আজকের নেট দুনিয়ায় যারা ভালো ছবি দেখে থাকেন, তাদের ভালো ছবি দেখার অভিজ্ঞতায় একটা শ্লাঘা এনে দেবার ক্ষমতা রাখে ‘লাল মোরগের ঝুটি’।  কেননা, এটি বাংলাদেশের ছবি। আর কি কি নিয়ে এই ছবির নির্মাণ ত্রুটি শনাক্ত করা যায়, তার জন্যেই ছবিটি দেখে নিতে হবে। কেননা, দর্শক যদি সিনেমার নামে রং ঢং তামাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বা দর্শক ক্রমশ ম্যাচিউর হয়, তাহলে ভালো ছবি নির্মাণ যাত্রায় একটা নির্মাতাদলের জন্যে একটি চ্যালেঞ্জ এসে যায়। সেই চ্যালেঞ্জ আবশ্যক। 

সম্ভবত বাংলাদেশের দর্শক রং ঢং তামাশা পিরিয়ড পাড়ি দিয়ে ফেলেছে। এখন, বাংলা ছবিতেই তাদের ভালো ছবি দেখার পালা শুরু। যা কিনা নির্মাতার জন্যেও প্রেরণা বটে। স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে এরকম ভাবনা এসে দোল খাচ্ছে মাথায়। মাথার মধ্যে ঢুকে পড়েছে মহাকাশ, মাথার মধ্যে ঢুকে পড়েছে সূর্য। প্রচুর তাপ বিচ্ছুরিত হচ্ছে মাথা থেকে। মাথার মধ্যে ক্ষত। ক্ষত কাঁটা থেকে। মনোজগতের সেই কাঁটাও দর্শকের সামনে আনার জন্যে নির্ঘুম রাত্রির জানালা খুলে আছি। আর ‘লাল মোরগের ঝুটি’ টিমকে অভিনন্দন জানাচ্ছি তাদের পরিশ্রমের জন্যে।