মতামত

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন

বাঙালি জাতির প্রায় পাঁচ হাজার বছরের লিখিত/অলিখিত ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। স্বাধীনতার জন্য বাঙালিকে যে চরম মূল্য দিতে হয়েছে বিশ্বের অন্য কোনো জাতিকে তা দিতে হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান যদি হয় ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই ভূ-খণ্ডে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, তাঁর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অবদান হচ্ছে সংক্ষিপ্ততম সময়ে এই জাতিকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রদান করা। বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক মানবিক সংস্কৃতির আবহে গঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জাতীয়তাবাদী চেতনা।

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যে আন্দোলনের সূচনা হয় তার চূড়ান্ত রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করি ‘৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারিতে রফিক, জব্বর ও বরকতসহ অগণিত ভাষাশহীদের আত্মদানে। এই ভাষা আন্দোলনের পলল জমিতে বেড়ে উঠেছে নব আঙ্গিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাঙালিত্বের পরিচয় ভাষা ও সংস্কৃতিকে অবলম্বন করে গড়ে উঠলেও অচিরেই বাংলার রাজনীতিও এই চেতনায় উদ্ভাসিত হয়।

ইউরোপে জাতীয়তাবাদকে মূল্যায়ন করা হয় সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক চেতনা হিসেবে। ইউরোপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বিভীষিকা প্রত্যক্ষ করেছে। হিটলারের নাৎসিবাদের জন্ম হয়েছিল জার্মান জাতীয়তাবাদের উগ্রতা থেকে। এই জাতীয়তাবাদের প্রধান প্রতিপক্ষ সেমেটিক ইহুদিরা হলেও যা কিছু প্রগতি ও উদারনৈতিকতার সমার্থক সবই নাৎসিদের আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হয়। আধুনিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে। বাঙালিত্বের চেতনা মূর্ত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের গানে- বঙ্গভঙ্গকালে যখন লিখেছেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’, ‘স্বার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ প্রভৃতি কালজয়ী গান। নাৎসি জাতীয়তাবাদের বিপরীতে বাঙালি জাতীয়তাবাদ জাতিবিদ্বেষ নয়, সম্প্রীতির কথা বলেছে।

ছয়শ বছর আগে বাংলার কবি চণ্ডিদাস লিখেছেন: ‘শুনহ মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’ দেড়শ বছর আগে বাংলার আরেক মরমী কবি লালন শাহ লিখেছেন: ‘এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে/ যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ আর খৃস্টান/ জাতিগোত্র নাহি রবে।’ প্রায় একশ বছর আগে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন: ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোনজন/ কাণ্ডারী বলে ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার।’ বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল ভিত্তি ছিল এই অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী বাঙালি জাতীয়তাবাদ।

পাকিস্তানের চব্বিশ বছরে ঔপনিবেশসুলভ শাসন-শোষণ-পীড়নের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃস্টান নির্বিশেষে সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এই জাতীয়তাবাদকে অবলম্বন করে একজোট হয়েছে। এভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার বোধ নতুন মাত্রায় বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক প্রেরণা হিসেবে যে সব মূল্যবোধ ও স্বপ্ন যুদ্ধরত বাঙালিকে তাড়িত করেছে তা মূর্ত হয়েছে ৭২-এর সংবিধানে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত রাখবার জন্য নৃশংসতম গণহত্যাযজ্ঞ ও নারীধর্ষণসহ মানবতার বিরুদ্ধে যাবতীয় অপরাধ করেছে। তাদের এই নৃশংসতার প্রধান দোসর ছিল জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলাম প্রভৃতি উগ্র ধর্মব্যবসায়ীদের দল। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তান রক্ষার দোহাই দিয়ে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যাবতীয় দুষ্কর্ম সাধন করেছে ইসলামের নামে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম ছিল মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। ৭১-এর ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেছিল।

৭২-এর ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে স্বদেশে ফিরে আসেন। বাংলাদেশে ফেরার পথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধে কয়েক ঘণ্টার জন্য দিল্লীতে যাত্রাবিরতি করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর জন্য এক বিশাল গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন। এই সংবর্ধনা সভায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার, সশস্ত্র বাহিনী এবং সর্বস্তরের জনগণের অতুলনীয় সহযোগিতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেছিলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে ভারতের সঙ্গে আপনার কীসের এত মিল? আমি বলেছি ভারতের সঙ্গে আমার মিল হচ্ছে নীতির মিল। আমি বিশ্বাস করি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায়। শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীও তাই বিশ্বাস করেন। আমাদের এই মিল হচ্ছে আদর্শের মিল, বিশ্বশান্তির জন্য...।’

সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নীতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু একই দিনে দেশে ফিরে রমনার বিশাল জনসমুদ্রে আবারও বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে আর তার ভিত্তি বিশেষ কোন ধর্মীয়ভিত্তিক হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।’ 

৪ নভেম্বর (১৯৭২) গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু এক অনন্যসাধারণ ভাষণ দিয়েছিলেন। আমার মতে তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ৪ নভেম্বরের এই ভাষণ, যেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা প্রতিফলিত হয়েছে। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘গণতন্ত্র’ ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করবো না। ... মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে কারো নাই। হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কারো বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খৃস্টানরা তাদের ধর্ম করবে তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি হলো এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না। ২৫ বৎসর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেঈমানী, ধর্মের নামে অত্যাচার, খুন, ব্যাভিচার- এই বাংলাদেশের মাটিতে এসব চলেছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলবো ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি। কেউ যদি বলে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার নাই, আমি বলবো সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যদি গুটিকয়েক লোকের অধিকার হরণ করতে হয়, তা করতেই হবে।’

ধর্মনিরপেক্ষকতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বহুবার বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়। প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। শুধু রাষ্ট্র ও রাজনীতি ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকবে, কোন বিশেষ ধর্মকে প্রশ্রয় দেবে না। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা এবং ধর্মের নামে হানাহানি এবং ধর্মব্যবসা বন্ধের জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। এতে ধর্ম ও রাষ্ট্রই দুই-ই নিরাপদ থাকবে।

সেই সময় অনেক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাঁদের বক্তব্য ছিল সেকুলারিজমের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে- ইহজাগতিকতা। সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ প্রদর্শন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কোরাণ, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ, ওআইসির সদস্যপদ গ্রহণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক সমলোচনা তখন হয়েছে। পশ্চিমে সেকুলারিজম যে অর্থে ইহজাগতিক- বঙ্গবন্ধুর সংজ্ঞানুসারে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা সেরকম ছিল না। তাঁর সেকুলারিজম ছিল তুলনামূলকভাবে নমনীয়, কারণ তিনি মনে করেছেন ধর্মের প্রতি ইউরোপীয়দের মনোভাব এবং বাংলাদেশসহ অধিকাংশ এশীয় দেশের মনোভাব এক রকম নয়। বঙ্গবন্ধুর সেকুলারিজমে ধর্মের যথেষ্ট স্পেস ছিল।

ইউরোপে যারা নিজেদের সেকুলার বলে দাবি করেন তারা ঈশ্বর-ভূত-পরলোক কিংবা কোনো সংস্কারে বিশ্বাস করেন না। বঙ্গবন্ধু কখনও বাংলাদেশে সে ধরনের সেকুলারিজম চাননি। ধর্মব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে বাংলাদেশের মানুষ ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার সম্পর্কে অনীহ হলেও এদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপরায়ণ। শুধু ঈশ্বর ও পরকাল নয়, পীর-ফকির ও পানিপড়াসহ বহু কুসংস্কারও মানে এদেশের অনেক মানুষ। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাংলাদেশের দুখি-মেহনতি মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের বিকাশ ঘটেছে গ্রামের সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে। বঙ্গবন্ধু জানতেন ধর্মবিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িকতা এক নয়।

১৯৭৫ সালে পাকিস্তানপন্থী ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর সংবিধান থেকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ মুছে ফেলে আমাদের সমাজ ও রাজনীতির যে সাম্প্রদায়িকীকরণ বা পাকিস্তানিকরণ আরম্ভ করেছিল তা থেকে আজও মুক্ত হতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’সহ চার মূলনীতি ফিরিয়ে আনলেও এখনও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মতো সাম্প্রদায়িকতার একাধিক কলঙ্ক সংবিধানে বহাল আছে; যা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উৎসাহিত করছে।

৭২-এর সংবিধান কার্যকর থাকলে বাংলাদেশে ধর্মের নামে নির্যাতন, হানাহানি, সন্ত্রাস, বোমাবাজি, রক্তপাত দেখতে হতো না। বাংলাদেশের ৫০ বছর এবং পাকিস্তানের ৭৪ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যাবতীয় গণহত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসের জন্য প্রধানত দায়ী এই দুই দেশের ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দলগুলি। এতে কোনো সন্দেহ নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সূচকে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটলেও ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটেনি। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে এখনও সদর্পে বিচরণ করছে।

বাংলাদেশ যদি একটি আধুনিক ও সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়, যদি যুদ্ধ-জেহাদবিধ্বস্ত বিশ্বে মানবকল্যাণ ও শান্তির আলোকবর্তিকা জ্বালাতে চায় তবে বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের আদর্শ দৃঢ়ভাবে অনুসরণ ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।