সারা বাংলা

রংপুরে নারী ভোটারদের দীর্ঘ সারি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। সকাল থেকে পুরুষ ভোটারদের তুলনায় নারী ভোটাররাই বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

পড়ুন: ৮৩৮ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে গঙ্গাচড়া উপজেলার  ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র গিয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতির এই চিত্র দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে আটটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মৌজার নারী ভোটার জমিলা বেগম বলেন, ‘হামরা এর আগের কয়টা ভোটের খবর টেলিভিশসেন দেখছি। তাই আজ হামার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবার জন্য আসছি।’

উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের বেতগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা জমিলা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভালো লাগছে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবো। মেম্বার প্রার্থীরা সকাল সাতটা থেকে বাড়ি বাড়ি অটো রিকশা পাঠিয়ে নারী ভোটারদের নিয়ে আসছে। তাই কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটার বেশি।’

বেতগাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহাইমিনুল ইসলাম মারুফ ও কামরুজ্জামান লিপ্টন আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, গঙ্গাচড়া উপজেলায় বেতগাড়ী, কোলকোন্দ, বড়বিল, গঙ্গাচড়া, লক্ষীটারী, গজঘণ্টা, মর্ণেয়া, আলোমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৬৬ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  এ উপজেলার ১০৭টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৭ হাজার ১৭৩ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন।  নয়টি ইউনিয়নে ১০৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৬০৪ সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও ১২০৮ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলা ছাড়াও বদরগঞ্জ উপজেলায় রাধানগর, গোপীনাথপুর, রামনাথপুর, মধুপুর, গোপালপুর, দামোদরপুর, কুতুবপুর, কালুপাড়া, বিষ্ণুপুর ও লোহানীপাড়া এই ১০টি ইউনিয়নেও ভোট গ্রহণ চলছে।  এতে চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  সেখানকার ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৪০ জন নারী ও পুরুষ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনছার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ১৬৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ২ হাজার ৩৩২ জন পুলিং অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দুই উপজেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক  জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি র‌্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা প্রতিটি ইউনিয়নে টহল দিচ্ছেন।