স্বাস্থ্য

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়ছে

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে আবারও বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের হার। অন্যদিকে, ঠান্ডাজনিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ফলে, রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় সাড়ে তিন মাস করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দেশে ফের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু। মাস্ক না পরে ঘরের বাইরে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি অবহেলার কারণেই প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।

পরিসংখ্যান বলছে, গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত এক সপ্তাহে বাংলাদেশে ৬ হাজার ৩০০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ হাজার ৩৭৬ জন বেশি। অর্থাৎ এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ১১৫ শতাংশ।

এদিকে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক জনসমাবেশ, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, বিয়ে, বনভোজন, পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার দির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ল্যাবএইড স্পেশাল‌াইজড হাসপাতালের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনজুর রহমান গালিব বলেছেন, ‘শীতের রোগের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে হাসপাতালে দিন দিন রোগী বাড়ছে। আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই, করোনা সংকট মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি যেমন প্রয়োজন আছে, তেমনই সবচেয়ে বেশি জরুরি সংক্রমণ রুখে দেওয়া। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু বলেছেন, ‘ঢাকায় মাস্ক পরা লোকের সংখ্যা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ হয়েছিল। কিন্তু গত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে সেটা আবার কমে ৫ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে।’ 

দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। মারা গেছেন ২৮ সহস্রাধিক। অন্যদিকে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ জন বলে জানা গেছে।