বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন বছরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে যেসব প্রযুক্তি

করোনার আগ্রাসী রূপ বজায় থাকলেও হয়তো নতুন বছর ২০২২ সালে আমরা প্রযুক্তিগতভাবে বেশ নতুন সব গ্যাজেট দেখতে পাবো।

এমন আভাস পাওয়া গেছে গত ৫-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকার লাস ভেগাসে হয়ে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক প্রদর্শনী কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শো থেকে। যা সংক্ষেপে ‘সিইএস’ মেলা নামে পরিচিত। এবারের শো থেকে ২০২২ সালে প্রযুক্তি কোন পথে এগুবে তার একটা ধারণা পাওয়া গেছে। কেমন হবে নতুন বছরের প্রযুক্তি জগৎ, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

মেটাভার্সের লড়াই: মেটাভার্স হলো থ্রিডি ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমে সোশ্যাল কানেকশন তৈরি করা। ফেসবুকের প্রধান প্রতিষ্ঠান মেটা কোম্পানি এই বিশেষ ভার্চুয়াল জগৎ সৃষ্টি করতে চলেছে। এতে যে কেউ অংশ নিয়ে ভার্চুয়াল জগতের ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। নতুন বছরে শুধু ফেসবুকই নয়,অন্য আরো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের মেটাভার্স তৈরির প্রতিযোগিতায় নামবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সফটওয়্যাার তৈরি প্রতিষ্ঠান ভিআর ডিরেক্টের সিইও রলফ ইলেনবার্গারের মতে তেমনটাই হতে চলেছে। গুগল, মাইক্রোফট, অ্যাপেল কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব হেডসেট, অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করবে মেটাভার্সের জন্য। শুধু বড় কোম্পানিই  না, স্টার্টআপ অর্থাৎ নতুন গড়ে উঠা অনেক কোম্পানিও এই মেটাভার্স জগৎ তৈরির লড়াইয়ে নামবে। 

স্মার্ট হোম: নতুন বছরে আপনার বাড়িও হয়ে উঠতে পারে একটি স্মার্ট হোম। বিশাল সব টেক কোম্পানি যেমন-অ্যাপেল, আমাজন, গুগল ও স্যামসাং একজোট হয়ে ‘ম্যাটার’ নামে স্মার্টহোম তৈরির একটি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছে। তার লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে আমরা স্মার্ট হোমের জন্য যতো গ্যাজেট কিনবো, সেগুলো যেন একটি আরেকটির সঙ্গে মানিয়ে ভালোভাবে কাজ করে।

ইলেকট্রিক গাড়ি: বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে অনেক কোম্পানি। সে ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে ফোর্ড, জেনারেল মোটরস, মার্সেডিজ বেঞ্জ, ভক্সওয়াগনের মতো বড় সব কোম্পানি কম দামে ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারজাত করবে। ইলেকট্রিক গাড়ির বিশাল বাজার ধরতে যাচ্ছে টেসলা কোম্পানি। লুসিড ও রিভিয়ানের মতো নতুন কোম্পানিও প্রতিযোগিতায় শামিল হবে।

গ্যাজেট মেরামত সহজ হবে: ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেটের মতো আমরা যেসব গ্যাজেট  ব্যবহার করি, সেগুলোতে সমস্যা দেখা দিলে সারানো একটু কঠিন। চলতি বছরে গ্যাজেট মেরামত সহজ হতে চলেছে। এতো বছর অ্যাপেল তাদের গ্যাজেট সারানোর ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল। তবে এ বছর তাদের প্রোডাক্ট মেরামত করতে সেলফ সার্ভিস রিপেয়ার প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। এতে করে আইফোন ও ম্যাক কম্পিউটার সারাতে পারবেন আপনিও। মাইক্রোসফটও একই সুযোগ দেবে।

পরিধানযোগ্য ডিভাইস: কয়েক বছর আগে থেকেই বড় কয়েকটি কোম্পানি স্মার্টওয়াচ তৈরি করে আসছে। একটু দামি হলেও সেসব স্মার্টওয়াচ কবজিতে পরে যে কেউ তার হৃদযন্ত্রের স্পন্দন, ঘুম, ক্যালরি এসব পরিমাপ করতে পারে। চলতি বছরে আরো কম দামে স্মার্ট গয়নাও আসতে চলেছে বাজারে। যেমন- আঙুলে স্মার্ট আংটি পরে বা হাতে স্মার্ট ব্রেসলেট পরে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ জানা যাবে।