বিনোদন

আইসিইউ-তে লতা মঙ্গেশকর

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। 

এদিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লতা মঙ্গেশকরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নি।

৯২ বছর বয়সী লতা মঙ্গেশকর দীর্ঘদিন ধরেই নানা বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। আগেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সম্প্রতি তার মৃদু করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। পরে পরীক্ষা করালে ফল পজিটিভ আসে।

লতা মঙ্গেশকর ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে পেশাদার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এক হাজারেরও বেশি হিন্দি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী। এখন পর্যন্ত হিন্দিসহ প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গান গেয়ে লতা মঙ্গেশকরের নাম ওঠে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। এই সময়ে তিনি ২০টি ভাষায় ২৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দেন। এ রেকর্ডটি ২০১১ সালে ভেঙে দেন তারই ছোট বোন আশা ভোসলে। আরডি বর্মন, এসডি বর্মন থেকে শুরু করে অনু মালিক ও যতিন-ললিতদের মতো সংগীত পরিচালকদের সঙ্গেও সমান তালে কাজ করেছেন লতা।

এ কণ্ঠশিল্পীর জনপ্রিয় হিন্দি গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘পেয়ার কিয়াতো ডারনা কেয়া’, ‘আজিব দাসতা হে ইয়ে’, ‘কাহি দিল জালে কাহি দ্বীপ’, ‘আজারে পারদেশী’, ‘আপকি নজরোসে সামঝা’, ‘লাগজা গালে’, ‘ন্যায়না বারসে রিমঝিম’, ‘তুঝে দেখাতো ইয়ে জানা সনম’, ‘মেরে জীবন সাথী’, ‘শিশা হো ইয়া দিল হো’, ‘নদীয়া কিনারে’, ‘আভি তো ম্যায় জাওয়ান হু’, ‘ধীরে সে আজা রে’, ‘রাত ভি কুচ হ্যায়’, ‘হামকো হামিসে চুরালো’ প্রভৃতি। তাছাড়া এ কণ্ঠশিল্পীর অনেক জনপ্রিয় বাংলা গানও রয়েছে। পাশাপাশি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন, দাদা সাহেব ফালকেসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।