দেহঘড়ি

গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে, খাওয়ার সময় বাতাস গ্রহণের ফলে কিংবা কোনো খাবার সইতে না পারলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। কিছুক্ষেত্রে অত্যধিক গ্যাস জমতে পারে, যার ফলে পেট ফেঁপে যেতে পারে অথবা ব্যথা করতে পারে।

অধিকাংশ সময় চিকিৎসা ছাড়াই গ্যাস দূর হয়ে যায়। তবে পেটফাঁপা ও গ্যাস জনিত ব্যথা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে চাইলে কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

* প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিক খেলে গ্যাস ও পেটের অস্বস্তি কমে। প্রোবায়োটিকের অন্যতম উৎস হচ্ছে টক দই। এতে আছে ল্যাকটোব্যাসিলাস ও বিফিডোব্যাক্টেরিয়া। এগুলো অন্ত্রের জন্য খুবই ভালো। খাবারের পর টকদই খাওয়া বেশ কার্যকর। 

* শরীরচর্চা: গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চায় পেটের ফাঁপা অবস্থা ও ব্যথা কমতে পারে। গ্যাস কমাতে কিছু অতি কার্যকরী শরীরচর্চা রয়েছে। তেমন একটি শরীরচর্চা হলো- পিঠের ওপর শুয়ে শূন্যে পা দুটিকে বাইসাইকেলের মতো চালানো। খাবার খাওয়ার পর অল্প হাঁটলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়। কিছু ইয়োগা পোজও গ্যাস কমাতে ও সংশ্লিষ্ট উপসর্গ উপশমে সাহায্য করতে পারে, যেমম- চাইল্ড’স পোজ ও সীটেড টুইস্ট। ইউটিউব বা গুগল থেকে এসব ইয়োগা শিখে নিতে পারেন।

* পিপারমিন্ট অয়েল সাপ্লিমেন্ট: বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, পিপারমিন্ট অয়েল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে আইবিএসের উপসর্গ তথা কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অত্যধিক গ্যাস ও পেটফাঁপা প্রশমিত হয়। খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এই সাপ্লিমেন্ট সেবন করতে পারেন।

* গরম সেঁক: গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে, হিটিং প্যাড ব্যবহারে গ্যাস জনিত পেট ব্যথা কমতে পারে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা জানান, পেটের ওপর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের হিটিং প্যাড রাখলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত পেটের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যেতে পারে।

তথ্যসূত্র: ইনসাইডার