দেহঘড়ি

সাধারণ ঠান্ডা নাকি ফ্লু-ডেল্টা-ওমিক্রনে আক্রান্ত? যেভাবে বুঝবেন

শীতকালে সাধারণ ঠান্ডা মানে সর্দি-কাশির প্রকোপ থাকেই। পাশাপাশি ফ্লু ভাইরাসের প্রকোপ থাকে। প্রায় দুই বছর ধরে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনার প্রকোপও। আর নতুন বছরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রকোপ দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

এত রোগের ভিড়ে বোঝা দায়, কোনটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু, কোনটাই বা করোনা। কেননা সবগুলোরই কমন লক্ষণ হলো, সর্দি-কাশি। ফলে অনেকে সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা) ভাইরাস কিংবা করোনা ভাইরাসের নতুন ডেল্টা বা ওমিক্রন সংক্রমণ মিলিয়ে ফেলছেন।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমান সময়ে সর্দি-কাশিকে সাধারণ ভেবে কেউ যেন ভুল না করে। কারণ সাধারণ সর্দি-কাশিও হতে পারে ওমিক্রনের লক্ষণ। ঠান্ডা লাগা, ফ্লু এবং কোভিডের জন্য কোন উপসর্গ কেমন হয়, সে বিষয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণ ঠান্ডা লাগার লক্ষণ

* সাধারণ ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে নাক থেকে পানি পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।

* এর সঙ্গে গলাব্যথা থাকে। এমনকি গলা ভেঙেও যেতে পারে।

* হালকা কাশির সমস্যা থাকে।

* হাঁচির সমস্যা দেখা দেয়।

* অল্প মাত্রায় জ্বর থাকতে পারে।

* ক্লান্তিবোধ হতে পারে।

ফ্ল’র লক্ষণ

শীতকালে অনেক ক্ষেত্রেই ফ্লুয়ের সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণই হচ্ছে জ্বর। কিংবা খুব ঠান্ডা লাগা।

* জ্বরের সঙ্গে সর্দি, শুকনো কাশি এবং গলাব্যথাও দেখা দেয়।

* নাক থেকে অনবরত পানি পড়ে।

* শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথাও ফ্লুয়ের লক্ষণ।

* ক্লান্তি, অলসভাব।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে জ্বরের লক্ষণ দেখা দেবে।

* জ্বরের সঙ্গে থাকে শুষ্ক কাশি, সর্দি।

* স্বাদ এবং ঘ্রানশক্তি চলে যাওয়ার সমস্যা।

* গলাব্যথা, মাথাব্যথা অনুভব হয়।

* ভীষণ ক্লান্তিবোধ হয়।

* শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ 

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গের ক্ষেত্রে প্রথমেই জ্বর আসা বা স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

কাশি, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা ইত্যাদি হলো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান কয়েকটি লক্ষণ।

চিকিৎসকদের মতে, যেহেতু এখন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাই কোনো লক্ষণ বেশি মাত্রায় দেখলে কোভিড নিয়ে সচেতন হতে হবে এবং দ্রুত কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। উপসর্গ বুঝে কোভিড পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করা উচিত হবে না।পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে তবেই প্রমাণিত হবে করোনা নয়।

তথ্যসূত্র: সিএনবিসি টিভি১৮