আইন ও অপরাধ

শিমু হত্যা: স্বামী ও তার বন্ধুর দোষ স্বীকার

বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার এস এম ওয়াই বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রিমান্ড চলাকালে আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে নোবেলের এবং আরেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে আব্দুল্লাহ ফরহাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।’

গত ১৮ জানুয়ারি এ দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

শিমুকে খুনের বিষয়ে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে সংবাদ পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গত উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোপের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহের নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তদন্তকালে জানা যায়, মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর।’

তিনি বলেন, ‘খুনিরা যদিও খুবই পরিকল্পিতভাবে লাশটি কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হযরতপুরে ফেলে যায়। তবে তারা কিছু চিহ্ন রেখে যায়। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহকে রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসি। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের ফলে শিমুর স্বামী ও তার বন্ধুর এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে নোবেলের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭-৮ টার মধ্যে যেকোনো সময় খুন হন শিমু। তার লাশ গুম করতে সহায়তা করেন আব্দুল্লাহ ফরহাদ।’

এদিকে শিমুকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।