পজিটিভ বাংলাদেশ

শিল্টুর স্বয়ংক্রিয় ডাস্টবিন

নতুন ধরনের স্বয়ংক্রিয় ডাস্টবিন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শিল্টু দাস। তিনি ডাস্টবিনের নাম দিয়েছেন- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডাস্টবিন।

জানা গেছে ডাস্টবিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে। ময়লা-আবর্জনা নিয়ে বিনের কাছে গেলে ঢাকনা খুলে যাবে এবং ময়লা ফেলার পর ঢাকনা বন্ধ হয়ে যাবে। বিশেষ আরও একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাণ ময়লা ভর্তি হওয়ার পর ঢাকনা খুলবে না। এবং যিনি এর মালিক তার মুঠোফোনে এসএমএস এবং কল যাবে।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আয়োজনে ৪৩তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় শিল্টু দাসের এই আবিষ্কার ১ম স্থান অর্জন করে।

শিল্টু দাস পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ পর্বের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হারুনী গ্রামে। বাবার নাম সুপ্রভাত চন্দ্র দাস। 

শিল্টু দাস রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি পৌরসভার ডাস্টবিনগুলো দেখে ভাবতাম বেশিরভাগ ডাস্টবিন ময়লা ভর্তি হয়ে উপচে পড়ছে, কেউ ময়লা নিচ্ছে না। লোকজন বাসার বা দোকানের ময়লা নিচে ফেলে দিচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অনেকে হাতে ময়লা লাগার ভয়ে ডাস্টবিনের ঢাকনা না তুলে ময়লা পাশে রেখে দেয়। আবার কর্তৃপক্ষ ঠিক সময়ে নিতে আসে না বা তারা বোঝেন না কখন ডাস্টবিন পূর্ণ হয়। এই সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্যই আমার এই প্রজেক্ট। 

মৌলভীবাজার পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলবো। পরিবেশ সুরক্ষা ও পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই ডাস্টবিন অনেক কাজে দেবে। 

মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর দেবাশীষ রায় বলেন, আমার বিশ্বাস তারা যদি ঠিকমত এটি নিয়ে কাজ করতে পারে এবং উপস্থাপন করতে পারে সেক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে এটি ছড়িয়ে যাবে। কারণ এই প্রজেক্ট দেশ ও জনগণের কাজে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। 

প্রজেক্টটি যাতে বাস্তবায়ন হয় এ জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন শিল্টু দাস।