খেলাধুলা

উইকেট টি-টেয়েন্টির মতো মনে হয়নি সিলেটের, কুমিল্লা বলছে ‘কঠিন ছিল’

দুই দলের একাদশে স্পিনারদের ছড়াছাড়ি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নাহিদুল ও তানবীর ইসলামকে দিয়ে বোলিং করানোর পর মুমিনুলকেও আক্রমণে আনে। সিলেট সানরাইজার্স সোহাগ গাজী, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল অপুকে দিয়ে বল করানোর পর অলোক কাপালিকেও হাত ঘোরানোর সুযোগ দেয়। ম্যাচের ১৮ উইকেটের ১১টিই নিয়েছেন স্পিনাররা।

দুই দলের বোলিংয়ের স্কোরবোর্ড দেখলেই বোঝা যায় মিরপুরে ম্যাচটা গড়িয়েছে কিভাবে! সিলেট আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে মাত্র ৮ বল আগে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে কুমিল্লা। সেটাও ২ উইকেট হাতে রেখে। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার ধুন্ধমার লড়াই। অথচ মিরপুরে দুই দলের লড়াই হলো ম্যাড়মেড়ে। সিলেটের ইনিংসে ছক্কা ছিল একটি, কুমিল্লার চারটি।

ঢাকার আকাশ সকাল থেকেই গুমোট হয়ে ছিল। মধ্যদুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলে। এমন ওভারকাস্ট কন্ডিশনে স্পিনাররা আলো ছড়াবেন তা প্রত্যাশিতই ছিল। তাইতো দুই দলের রণকৌশল ছিল একই রকম।

দুই ইনিংস মিলিয়ে রান হয়েছে মাত্র ১৯৩। এমন উইকেট যে টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ না তা বলতে দ্বিধা করেননি সিলেট সানরাইজার্সের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও বলতে দ্বিধা করেননি, এমন উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য কঠিন।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বলেছেন, ‘উইকেটটি টি-টোয়েন্টির মতো মনে হয়নি। ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাটিং করা কঠিন এখানে। টার্ন ছিল, ভেজা ছিল। যেটার কারণে ব্যাটসম্যানরা স্বস্তিতে খেলতে পারেনি, এটা সত্যি। দুটি দলই একইভাবে খেলেছে এবং কঠিনই মনে হয়েছে আমার কাছে। ব্যক্তিগতভাবে সবার কাছেই মনে হয়েছে যে এটা কঠিন উইকেট ছিল। টি-টোয়েন্টিতে এরকম উইকেট থাকলে রান বের করা কঠিন। এই কারণেই আমার মনে হয়েছে রান হয়নি।’

‘উইকেট সবাই দেখেছে যে প্রত্যাশিত সুবিধা পাইনি আমরা। টসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা জিতলেও ফিল্ডিং করতাম আগে। সবাই দেখেছেন যে বল কী পরিমাণ টার্ন করছিল, কাট করছিল। একটু কঠিন ছিল তাই। একটু নয়, অনেক খানিই কঠিন ছিল।’ – যোগ করেন বিজয়।

ইমরুল কায়েসের ব্যাখ্যা, ‘উইকেট প্রথম পর্বে কিছুটা কঠিন ছিল। আমাদের বোলাররা উইকেটের সাথে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট ভালো ও পরিকল্পনামাফিক বোলিং করেছে। কিন্তু লো স্কোরিং ম্যাচে সবসময়ই একটু সমস্যা হয় রান চেজিংয়ের ক্ষেত্রে। আর টার্নিং উইকেটে চাইলেও সিঙ্গেলস বের করা যায় না। লো ট্র্যাকে আপনি চাইলেও আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারবেন না। যেটা হয় যে, অনেক দেখেশুনে ব্যাট করা লাগে। বেশি দেখেশুনে খেলতে গিয়ে হয়তো ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়, তখন একটা প্রেসার চলে আসে। সব মিলিয়ে উইকেট কঠিন ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য।’