খেলাধুলা

মেরে খেলা ব্যাটসম্যানদের বোলিং করে আনন্দ পাই: নাসুম

নাসুমের বলটা ঠিকঠাক মতো টাইমিং করতে পারলেন না আন্দ্রে রাসেল। বল উঠল  কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের  আকাশে। ডিপ মিড উইকেটে থাকা শামীম হোসেন পাটোয়ারি বলের নিচে চলে আসলেন। এরপর হাতের মুঠোয় জমিয়ে নিলেন অতি সহজে।

ওদিকে নাসুম নাচছেন মিরপুরের সবুজ গালিচায়। ঢাকাকে হারাতে চট্টগ্রামের বাধা হয়ে ছিলেন রাসেল। নাসুম তার উইকেটটা নিয়ে ঢাকাকে জয়ের পথ থেকে ছিটকে দেন। এর আগে ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও নাঈমের উইকেট নিয়ে তিনি জয়ের পথ মসৃণ করেন।

৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে বাঁহাতি স্পিনারের শিকার ৩ উইকেট। তাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।

শেষ বলে ৪ রান না হলে অনন্য এক রেকর্ড হতো নাসুমের। বিপিএলে কমপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ইকোনমি হতো তার। কিন্তু ওই ৪ চারেও তার ইকোনমি ২.৫৫। 

চট্টগ্রামের করা ১৬১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ঢাকা। ১৩১ রানে অলআউট হয়ে ৩০ রানে ম্যাচ হেরেছে তামিম, মাহমুদউল্লাহরা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে নাসুম জানালেন, যারা বেশি মেরে খেলে তাদের বোলিং করেই আনন্দ পান তিনি। 

তার ভাষ্য, ‘আমি টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করতে খুব উপভোগ করি। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে’তে বল করতে বেশ ভালো লাগে। যারা বেশি মেরে খেলে তাদেরকে বোলিং করতেও আমার বেশ ভালো লাগে। আমি ওদেরকে খুব ভালো পড়তে পারি। আমার কাছে খুব ভালো লাগে।’

আজকের বোলিং নিয়ে নাসুম বলেছেন, ‘আমার বোলিংটা খুব বেশি উপভোগ করেছি। অনেক ডট বল দিয়েছি এজন্য ভালো লাগছে।’

নাসুমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম স্পেলে তামিম তার এক ওভারে ১৪ রান নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় স্পেলে শরিফুল অন্য চেহারায়। ফিরেই এক ওভারে তামিম ও জহুরুল ইসলাম অমির উইকেট নেন। শেষে তার শিকার ইসুরু উদানা ও শুভাগত হোম। ৪ ওভারে শরিফুল ৩৪ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।

জাতীয় দলের দুই তরুণের দারুণ বোলিংয়ে বিপিএলে চট্টগ্রাম পেল প্রথম জয়। অন্যদিকে বিগ বাজেটের দল ঢাকা আরেকটি পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল। ঢাকা কবে হাসবে জয়ের হাসি?