জাতীয়

জেলা পরিষদ আইন সংশোধন বিল সংসদে উত্থাপন

জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে এর কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে, এমন বিধান রেখে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০২২’ বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ বিল উত্থাপন করেন। বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিলে প্রতি জেলা পরিষদে বিদ্যমান ১৫ সাধারণ সদস্য ও ৫ সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের পরিবর্তে জেলার অন্তর্গত উপজেলার সমনসংখ্যক সদস্য ও এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত সদস্য নিয়ে পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে। 

উপজেলা পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়র পরিষদের সভায় অংশ নিতে পারবেন। তবে, তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।

বিদ্যমান আইন ও প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচকমণ্ডলী (ভোটার) হিসেবে একই ধরনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের প্রণয়ন করার কথা থাকলেও প্রস্তাবিত আইনে সেটা বলা হয়নি। প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী, জেলার অন্তর্গত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলা পরিষদের ভোটার।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সদস্য ও ৫ মহিলা সদস্য আছে। প্রস্তাবিত সংশোধনে জেলার প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে সদস্য এবং চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মোট সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ (নিকটবর্তী পূর্ণসংখ্যা) নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, পরিষদ প্রতি অর্থবছর শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে সম্পাদিত কার্যাবলীর ওপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করবে।

বিলে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের পদ-পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ’একজন সচিব’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন নির্বাহী কর্মকর্তা’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।