খেলাধুলা

পরীক্ষায় পাশ মাশরাফি, লড়াই শুরু সাকিবদের বিপক্ষে

কোমর ব্যথায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুর দুই ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পায়নি মিনিস্টার ঢাকা। দুই ম্যাচেই হেরেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আপাতত ঢাকা শিবিরে মাশরাফিকে নিয়ে বিরাজ করছে স্বস্তি। বিসিবি একাডেমি মাঠের নেটে বোলিংয়ের পরীক্ষায় পাশ করে গেছেন এই ডানহাতি পেসার। তাকে নিয়ে কেটেছে শঙ্কার মেঘ।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাশরাফিকে নিয়েই নামার সম্ভাবনা জোরালো। আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় সাকিব আল হাসানের বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা। এই ম্যাচের আগে আজ রোববার বিসিবি একাডেমি মাঠে পরীক্ষা হয় মাশরাফির।

মাশরাফির এই পরীক্ষার কথা রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার ফিজিও এনামুল হক। ‘মাশরাফি প্রথমে তিন ওভারের মতো বোলিং করেছে। শেষ দুই ওভারটাই তাকে মূলত দেখা হয়েছে, সে খেলতে পারবে কী পারবে না।’

আজ অনুশীলনে এসে মূলত দুই ধাপে বোলিং করেছেন মাশরাফি। প্রথমে তিন ওভার করেছেন। শুরু করেন ছোট রানআপে। ধীরে ধীরে লম্বা রানআপে বোলিংয়ের চেষ্টা করেছেন। আসল পরীক্ষা হয় শেষ দুই ওভারে। তখনই মূলত দেখা হয়েছে মাশরাফি ফেরার জন্য ফিট কী না। শেষ দুই ওভারে তিনি লম্বা রানআপে বোলিং করেছেন ঠিকঠাকভাবে। একবার ভেঙেছেন একমাত্র স্ট্যাম্পও।

ফিজিও দিয়েছেন স্বস্তির খবরও, ‘লম্বা রানআপে মাশরাফি বোলিং করেছে। আপাতত তার কোনো সমস্যা দেখছি না। তৃতীয় ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা জোরালো। ফিটনেসের দিক থেকে কোনো সমস্যা আমি দেখছি না।’

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি লম্বা রানআপে বোলিং করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি মাশরাফি। প্রথমবার বল ছুড়তে পেরেছিলেন। পরের দুইবার পারেননি। ব্যথা থাকায় মাঠেই শুয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই জানা যায় প্রথমদিকে মাশরাফির না খেলার কথা।

মাশরাফি সর্বশেষ বল হাতে দৌড়ান ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে খেলেছিলেন জেমকন খুলনার হয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে। এরপর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেননি তিনি। বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণ দিয়ে ফেরার কথা ছিল, ফিট না থাকায় পারেননি।

বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে ঢাকা হেরেছে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে। রুবেল হোসেন ও এবাদত হোসেনকে নিয়ে পেস আক্রমণ সাজিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দুই ম্যাচে রুবেল ৬৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর ইবাদত ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট। মাশরাফি একাদশে আসলে দুজনের যে কাউকে জায়গা হারাতে হতে পারে। মাশরাফিতো ফিরছেন কিন্তু জয়ে ফিরবেতো ঢাকা?