করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল লতা মঙ্গেশকরের। কিন্তু শনিবার আচমকা অবনতি হতে শুরু করলে নেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। বার্ধক্যজনিত নানা কারণে রোববার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান উপমহাদেশের কিংবদন্তিতুল্য এই কণ্ঠশিল্পী, তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
লতার মৃত্যুতে ভারতীয় সঙ্গীত ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। কোকিলকণ্ঠী এই সঙ্গীত শিল্পী অজানা এক জগতে পাড়ি দিলেও তার কণ্ঠ মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যাবে আজীবন। লতার মৃত্যুর খবরে ভারতে দুই দিনের শোক ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। শোক ছেয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট অঙ্গনেও। বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে ভিভিএস লক্ষ্মণরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন ‘লতা দিদির’ মৃত্যুতে।
লতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কোহলি লিখেছেন, ‘লতা জির মৃত্যুর খবর শুনে খুবই মর্মাহত। তার সুরেলা সঙ্গীত বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। দারুণ গান ও স্মৃতির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তার পরিবার ও ভালোবাসার মানুষদের জানাই আমার গভীর সমবেদনা।’
প্রয়াত গায়িকাকে শ্রদ্ধা জানান লক্ষ্মণও, ‘ভারত রত্ন লতা মঙ্গেশকর দিদির মৃত্যুর খবর পেয়ে ব্যথিত। তার কণ্ঠ ও সুর অমর হয়ে থাকবে। তার পরিবার, বন্ধু ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভক্তদের প্রতি সমবেদনা।’
ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন লিখেছেন, ‘তার কণ্ঠ আমাদের সঙ্গে থাকবে চিরকাল। শান্তিতে ঘুমান লতাজি।’
সাবেক ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিং তার অফিসিয়াল টুইটারে শ্রদ্ধা জানান কিংবদন্তিতুল্য সঙ্গীত শিল্পীকে, ‘লতাজির মৃত্যুর খবর শুনে দুঃখিত। আপনার সুর আমাদের হৃদয়ে থাকবে আজীবন।’
সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর লিখেছেন, ‘কিংবদন্তিরা থাকেন অমর হয়ে। আর কেউই কখনো তার মতো হতে পারবেন না।’
আরেক সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগও শোকাহত, ‘ভারতের বুলবুল পাখি। তার কণ্ঠ স্বর অনুরণিত হয়েছে, সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে সুখানুভূতি দিয়েছে এবং আনন্দিত করেছে। তার পরিবার ও ভক্তদের জানাই আন্তরিক সমবেদনা।’
শিখর ধাওয়ান লিখেছেন, ‘আপনার সঙ্গীত আমাদের আত্মাকে স্পর্শ করতো এবং আমাদের হাসি এনে দিতো। লতা মঙ্গেশকর জি শান্তিতে ঘুমান। আপনার কর্ম আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।’
শুধু ভারতেরই নয়, শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নেও শোক প্রকাশ করেছেন, ‘কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর খবর শুনে খুবই মর্মাহত। শান্তিতে ঘুমান।’